হামলা-হত্যার দায় স্বীকারের উৎস
৫ নভেম্বর ২০১৫সর্বশেষ বুধবার ঢাকার অদূরে আলিয়ায় পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যারও দায় স্বীকার করেছে আইএস৷ আর এই খবর জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ তাদের পোর্টালে৷ সাইট দাবি করেছে, আইএস এক টুইটার বার্তায় এই দায় স্বীকার করেছে৷ এর আগে দুই বিদেশি হত্যা এবং হোসনি দালান এলাকায় আশুরার মিছিলে বোমা হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস৷ সেখবরও জানা যায় সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের মাধ্যমে৷ তবে প্রকাশকদের ওপর হামলা এবং হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসার আল ইসলাম নামে আরেকটি সংগঠন৷ আর এই দায় স্বীকার তারা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে ইমেলেই জানায়৷ পরে সাইট ইন্টেলিজেন্স তাও প্রকাশ করে৷
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এরই মধ্যে এই দাবি প্রকাশ নিয়ে সন্দেহ এবং টুইটের উৎস নিয়ে কথা বলেছেন৷ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা সাইট-এর কাছ থেকে আইএস-এর দাবির পক্ষে মূল টুইট বার্তার উৎস জানতে চেয়েও জানতে পারিনি৷ একাধিকবার সাইট-এর কো-ফাউন্ডার রিটা কাৎস-কে ইমেল করেও জবাব পাইনি৷ তবে এর আগে একাধিক ঘটনায় বিশেষ করে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার নামে দায় স্বীকার করে ইমেলে যে সব বিবৃতি দেয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশ থেকেই দেয়া হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ তাদের পক্ষে টুইটও করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই৷ কারা টুইট করেছে তা চিহ্নিত করা গেলেও আমরা তাদের আটক করতে পারিনি৷''
এদিকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অফিশিয়াল কনসালটেন্ট হিসেবে ২০১২ সাল থেকে কাজ করছেন আইটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা৷ তিনি ২০১২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলা এবং হত্যা নিয়ে দায় স্বীকার করে যেসব ইমেল, ফেসবুক এবং টুইট বার্তা প্রকাশ হয়েছে তার সবগুলো নিয়েই কাজ করেছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে দায় স্বীকার করে যেসব টুইট, ফেসবুক এবং ইমেল বার্তার কথা বলা হচ্ছে তার মূল উৎস হল ‘আত তামকিন' নামে একটি ব্লগ সাইট৷ সিঙ্গাপুরে তাদের একটি সার্ভার আছে৷ কিন্তু যারা এই ওয়েব সাইটে বার্তা আপলোড করেন তাদের অবস্থান গুলশান এবং পুরনো ঢাকায় ৷ আমরা এর আগের বার্তাগুলোর উৎস দেখতে পেয়েছি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা৷''
তিনি আরো জানান, ‘‘আমরা এরই মধ্যে এই গ্রুপগুলো একই না আলাদা তা নিয়েও কাজ করছি৷ শিগগিরই তা নিশ্চিত হতে পারব৷''
তিনি বলেন, ‘‘ইমেল, ফেসবুক এবং টুইট বার্তার উৎসও বাংলাদেশ৷ আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে দেশের বাইরে থেকে এসব বার্তা আসেনি৷''
এদিকে গত সপ্তাহে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ-এর কো ফাউন্ডার রিটা কাৎস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের উচিত হবে সত্য স্বীকার করে নেয়া৷ তিনিও দায় স্বীকারের উৎস হিসেবে আত তামকিন নামের ওয়েব সাইটটির কথা উল্লেখ করেন৷''
প্রসঙ্গত, আত তামকিন একটি বাংলা ওয়েব সাইট৷
প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে জানিয়ে দিন নীচে মন্তব্যের ঘরে...