হরতালে বড় কোন অঘটন ঘটেনি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই হরতালে পুলিশ ছিল সক্রিয়৷ বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীর যেখানেই মিছিল পিকেটিং করতে গেছেন সেখানেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন৷ জামায়াত নেতা-কর্মীরাও তেমন সুবিধা করতে পারেননি৷
আর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল বরাবরের মত অবরুদ্ধ৷ পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে কোন নেতা-কর্মীকে ঢুকতে দেয়নি৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবী করেছেন, পুলিশ তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে৷
তবে পুলিশের উপ কমিশনার মেহেদী হাসান জানান, জোর করে হরতাল পালনে তারা বাধা দিয়েছেন৷ এদিকে হরতালের বিরুদ্ধে ঢাকায় মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, তেল-গ্যাসের কথা মুখে বলা হলেও এই হরতাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য করা হয়েছে৷ এটি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত হরতাল৷
হরতালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম৷ দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস না চললেও ট্রেন চলেছে৷ সরকারি অফিস আদালত খোলা থাকলেও কাজকর্ম হয়েছে কম৷ প্রধান সড়কের দোকানপাট খোলেনি৷
অন্যদিকে যশোরে বিএনপির মিছিলে বোমা হামলার প্রতিবাদে সেখানে শনিবার আধাবেলার হরতাল ডাকা হয়েছে৷ ওইদিন সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক