‘স্বাধীনতার চেতনা আ. লীগের কাছে ব্যাবসামাত্র’
৯ জুলাই ২০১৩নিঝুম মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির একজন ঘোর সমালোচক৷ কিন্তু তারপরও নাকি তাঁর কিছু করার নেই৷ কেননা তাঁর মতে, তাঁর অবস্থা এখন অনেকটা ‘লাইফ অফ পাই' মুভির মতো৷ ‘‘বিএনপি-জামাতকে আমরা হয়ত স্বপ্নে কিংবা কল্পনাতেও সমর্থন করতে পারব না৷ সুতরাং আমাদের শেষ পর্যন্ত আশা রাখতে হয় আওয়ামী লীগকে ঘিরেই৷ কিছু করবার নেই৷ শেষ পর্যন্ত এই দেশে স্বাধীনতার চেতনাটুকু আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বেঁচে রয়েছে, যদিও তাদের কাছে এটি লাভজনক একটা ব্যাবসামাত্র৷''
স্ট্যাটাসটি দেয়ার ১৩ ঘণ্টার মাথায় এটি ‘লাইক' করেছেন ৩৯৪ জন, আর শেয়ার করেছেন ১৯ জন৷ এছাড়া মন্তব্যও করেছেন অনেকে৷
সৈয়দ মিরাজ লিখেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এই দেশে স্বাধীনতার চেতনাটুকু আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বেঁচে রয়েছে!! লাইনটা পড়ে অনেকক্ষণ ধরে হাসলাম৷'' অবশ্য মিরাজ কেন হাসছেন তা জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ৷ উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘চেতনা যে কোনো দলের প্যাটেন্ট করা – এই ধরনের কথা শুনলে গড়াগড়ি না খেয়ে উপায় আছে৷''
‘স্বপ্নবাজ দীপন' লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনে হারার জন্যে আওয়ামী পন্থী অনেকেই দায়ী করেছে বাম-পন্থীদের....আমি বুঝলাম না, নির্বাচনে হারার পেছনে বামপন্থীরা কেমনে দায়ী হয়? আওয়ামী লীগ কখনো চারটি বড় দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না....পদ্মা সেতু, শেয়ারবাজার, হলমার্ক, ডেস্টিনি...এ যেনো শাক দিয়ে মাছ ঢাকা..৷''
কামরুল আহসান লিখেছেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চ হবার পর, কত তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া করেছি বন্ধুদের সাথে, সহকর্মী এমনকি আত্মীয়দের সাথেও৷ অনেকের সাথেই সম্পর্কচ্ছেদ করেছি৷ ভাই হত্যা, বোনের ধর্ষণকারীর বিচার চাইতে যে ‘কিন্তু' বলেছিল, তার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি৷ এখন মনে হচ্ছে আমার চারপাশে স্বাধীনতার আদর্শের যে দূর্গ গড়েছিলাম, তার দেয়াল ভেঙে পড়ছে একটা একটা করে৷ সামান্য কয়টা লম্পটকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ তার হাজার হাজার বন্ধু হারাল৷’’