সৌদি আরবে হামলার প্রভাব জ্বালানি তেলের বাজারে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুইটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় বড় ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এর পেছনে নিজেদের দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা৷
হামলার কারণে দুইটি প্লান্টের দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেলের তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, যা দেশটির মোট উৎপাদনের অর্ধেক আর বৈশ্বিক গড় উৎপাদনের ৫ ভাগ৷
এদিকে শনিবারের এই ঘটনায় জ্বালানী তেলের দরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ‘‘সৌদি আরবে যে কোন ধরনের হামলাই তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করবে, কেননা জ্বালানী তেল উৎপাদনের বড় অংশই তাদের দখলে,’’ বলেন এনভেরাস নামের একটি বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট বারনাদেত্তে জনসন৷ তাঁর মতে এই দুইটি প্লান্টের উৎপাদন সহসায় শুরু না হলে দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটতে পারে৷
সিএনবিসি বিভিন্ন বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলছে, সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম তাৎক্ষণিকভাবে ৫ থেকে ১০ ডলার বাড়বে৷ যা শেষ পর্যন্ত ১০০ ডলারও স্পর্শ করতে পারে৷ সবশেষ শুক্রবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬০ দশমিক ২২ ডলার৷
এদিকে এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন৷ হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ তিনি বলেন ইয়েমেন থেকে ড্রোন আসার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বিশ্বের জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থায় এমন হামলা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি ইরানের উপরই দায় চাপিয়েছেন৷ পাশাপাশি সব দেশকে ইরানের এই হামলার প্রতি নিন্দা জানানোর আহবান জানান৷
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়ে পম্পেও ইরানের সাথে ’সর্বোচ্চ প্রতারণা’ শুরু করেছেন৷
এফএস (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)