মদিনায় বোমা সন্ত্রাস
৫ জুলাই ২০১৬রমজান শেষ হবার আগের দিন সৌদি আরবে তিন-তিনটি আত্মঘাতী বোমা আক্রমণ দুনিয়া এবং মুসলিম দুনিয়াকে সচকিত করেছে৷ সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ‘সবক' নিউজ সাইটের খবর অনুযায়ী পুলিশ কর্মচারীরা রোজার শেষে ইফতার করার সময় আততায়ী তাদের উপর আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছিল৷ কিন্তু মসজিদে নববির পাশের গাড়ি রাখার জায়গায় তাকে দেখে পুলিশের সন্দেহ জাগে ও পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করে৷ তখন আততায়ী তার বোমাটি ফাটায়, বলে জানিয়েছেন সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি৷ বিস্ফোরণে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়া ছাড়াও আরো পাঁচজন আহত হন৷
পুবের শিয়া অধ্যুষিত শহর কাতিফেও আক্রমণ ঘটে প্রায় একই সময়ে৷ ‘সবক'-এর খবর অনুযায়ী এখানে দু'জন আত্মঘাতী বোমারু ফারাজ আল-ওমরান মসজিদটির কাছে নিজেদের উড়িয়ে দেয়, যদিও আল-তুর্কি একজন আত্মঘাতী বোমারুর কথা বলেছেন, আবার এ-ও বলেছেন যে, অকুস্থলে তিনজন ব্যক্তির দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে৷
সোমবার সকালেই জেদ্দার মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে এক আত্মঘাতী বোমারু নিরাপত্তা কর্মীদের আসতে দেখে নিজেকে উড়িয়ে দেয়; ফলে দু'জন নিরাপত্তা কর্মী আহন হন৷
সৌদি আরবে সন্ত্রাসী আক্রমণ বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করলেও, একটির পর একটি মুসলিম দেশ যে আপাতত সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে, সেটা অনেকেরই নজর এড়ায়নি – যেমন বাংলাদেশ, তুরস্ক, ইরাক ও সৌদি আরবের পরে ইন্দোনেশিয়াতেও পুলিশ ফাঁড়ির উপর আত্মঘাতী বোমা আক্রমণ৷ যদিও এখানে আহত হন শুধু একজন৷
ওদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ জেদ্দার আত্মঘাতী বোমারুর নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন৷ ৩৫ বছর বয়সি আবদুল্লাহ কালজার খান পেশায় ছিলেন ড্রাইভার; স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে গত ১২ বছর ধরে জেদ্দায় বাস করছিলেন৷
অপরদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন৷
সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরবের মূল আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া অধ্যুষিত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভদ জরিফ টুইটার করেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের জন্য আর কোনো সীমানা বাকি রইল না৷ সুন্নি, শিয়া, সকলেই তার শিকার হবে, যদি না আমরা একত্রিত হই৷''
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)