সৌদি আরবের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত রাজকুমারী রীমা!
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯কিছুদিন আগেই নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়াকে কেন্দ্র করে খবরে উঠে এসেছিল সৌদি আরব৷ বর্তমানে আবারও আলোচনায় সৌদিতে নারীদের স্বাধীনতা৷
গত রবিবার সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো নারী রাষ্ট্রদূতের পদ লাভ করেন৷ ভাই যুবরাজ খালিদ বিন সলমান আল সৌদকে সরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের দূত হলেন রাজকুমারী রীমা বিনতে বান্দার আল সৌদ৷
ঐতিহাসিক এই পদলাভের পর এক টুইটে তিনি জানান, ‘‘ঈশ্বরের অনুমতি নিয়েই আমি আমার দেশের সমস্ত নাগরিকের সেবায় নিজেকে সমর্পণ করলাম৷''
সৌদি আরবে কি দিন বদলাচ্ছে?
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করা রাজকুমারী রীমা সৌদি নারীদের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করেন৷ তাঁর রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হওয়াকে অনেকেই সৌদি আরবে নারীদের ক্ষমতায়নের ইঙ্গিত হিসাবে দেখছেন৷ কিন্তু আদৌ কি তা সত্যি?
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নারীদের বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়া এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা বা বিদেশভ্রমণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ এই প্রেক্ষিতে এক নারী রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ সাধারণ সৌদি নারীদের জীবনে কতটুকু পরিবর্তন আনবে, তা এখনও অনিশ্চিত৷
কিন্তু বর্তমানে, রাজকুমারী রীমার সামনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ৷ সাংবাদিক জামাল খাশগজি'র হত্যাকে কেন্দ্র করে গত বছর থেকেই চাপের মধ্যে মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক৷
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূতের ওপর শুধুই ইতিহাস গড়ার দায়িত্ব নয়, রয়েছে বিশাল রাজনৈতিক চাপও৷
এসএস/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স)