সৌদি নারীদের আরেক সুবিধা লাভ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮দেশটির ব্যবসা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অভিভাবকের কাছ থেকে পাওয়া অনুমতিপত্র থাকার প্রমাণ ছাড়াই এখন নারীরা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং সরকারের ই-সেবাগুলো ভোগ করতে পারবেন৷’’
সৌদি আরবে চালু থাকা অভিভাবক ব্যবস্থার আওতায় সরকারি সেবা পেতে কিংবা ভ্রমণে যেতে, স্কুলে ভর্তি হতে গেলে নারীকে তাঁর ‘অভিভাবকের’ কাছ থেকে পাওয়া অনুমতিপত্র দাখিল করতে হয়৷ এক্ষেত্রে অভিভাবক হন সাধারণত স্বামী, বাবা কিংবা ভাই৷
তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব৷ তাই সম্প্রতি বেসরকারি খাত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি৷ নারীদের ব্যবসা শুরুর অনুমতি দেয়া সেই পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে৷
‘ভিশন ২০৩০’ নামে একটি সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছে সৌদি আরব৷ এর আওতায় কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷
নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ভিশন ২০৩০’ প্রণয়নের মূল ব্যক্তি বলে মনে করা হচ্ছে৷ গত অক্টোবরে তিনি একটি ‘মধ্যপন্থি ও খোলা’ সৌদি আরব গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন৷
চলতি মাসে দেশটির পাবলিক প্রোসিকিউটর কার্যালয় প্রথমবারের মতো নারী তদন্তকারী নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে৷
এছাড়া বিমানবন্দর ও সীমান্তে প্রথমবারের মতো ১৪০ জন নারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল সরকার৷ এক লক্ষেরও বেশি নারী এতে আবেদন করেন বলে জানা গেছে৷
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান গাড়ি চালানো বিষয়ে নারীদের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ আগামী জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)
গত সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন..