সোভিয়েত জমানার ক্ষেপণাস্ত্র, যা পোল্যান্ডে মিসফায়ার হয়েছে
১৮ নভেম্বর ২০২২এই এস-৩০০ বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে। গত শতকের সত্তরের দশকে তা পূর্ব ইউরোপের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়নের লৌহযবনিকার পতন ও ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও তা ওই দেশগুলির কাছে থেকে যায়। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সমীক্ষা বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন আক্রমণ করে, তখনও ইউক্রেনের হাতে ২৫০টির বেশি এস-৩০০ সিস্টেম ছিল।
তবে এরপর ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি থেকে কতগুলি এস-৩০০ ইউক্রেনকে দেয়া হয়েছে, সেই হিসাব নেই। তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়ার সময় এস-৩০০ সিস্টেম দিয়েছে। স্লোভাকিয়া তাদের চারটি এই ধরনের সিস্টেম দিয়েছে। তার পরিবর্তে জার্মানি আবার স্লোভাকিয়াকে প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম দিয়েছে।
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ(সিএসআইএস) অক্টোবরে বলেছিল, ইউক্রেন খুব সহজেই এস-৩০০ সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে তা ব্যবহার করে আসছে।
ইউক্রেন জার্মানির তৈরি সবচেয়ে আধুনিক আইআরআইএস-টি সিস্টেমও ব্যবহার করে। এই সিস্টেম খুবই কার্যকর ব্যবস্থা। তবে বহু এলাকায় ইউক্রেন শুধু এস-৩০০ সিস্টেমই ব্যবহার করছে। তবে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, রাশিয়ার হামলায় কতগুলি সিস্টেম নষ্ট হয়েছে।
ইউক্রেন থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ড গেছে
পোল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, যে ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের একটি খামারে এসে পড়ে এবং দুইজন মারা যান, তা এসেছে ইউক্রেন থেকে। এটা খুবই পুরনো রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। সাধারণত এই এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ৭৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে আঘাত হানতে পারে।
গত মঙ্গলবার রাশিয়া পশ্চিম ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। বিশেষ করে তারা ইউক্রেনের জ্বালানি-পরিকাঠামোর উপর হামলা করে। ইউক্রেনের ইয়ারোইভ একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পশ্চিমপ্রান্তের সামরিক ঘাঁটি ছিল। সেখান থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র মিসফায়ার হয়ে পোল্যান্ড এসে পড়ে, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। সম্ভবত রাশিয়ার হামলার জবাব দিতে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল এবং তা মিসফায়ার করে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে ন্য়াটো প্রধান স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ''তদন্ত চলছে। তাই আমি এই বিষয়ের গভীরে যেতে চাই না।'' ফলে এখনো এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কিছু প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
ফ্র্যাঙ্ক হফম্যান/জিএইচ(ডিডাব্লিউ)