রোহিঙ্গাদের জন্য সুখবর?
৯ নভেম্বর ২০১৫২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম অবাধ নির্বাচন হলো মিয়ানমারে৷ রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে অং সান সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয়ের পথেই এগোচ্ছে৷ এ পর্যন্ত ঘোষিত ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জিতেছে তাঁর দল৷
সু চি-র দল এবং দলের সমর্থকরাও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী৷
ফলাফল ঘোষণা শুরুর আগেই তাই এনএলডি-র সমর্থকদের একরকম বিজয়োল্লাসেই মেতে উঠতে দেখা গেছে৷
তাঁদের এতটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা যে অমূলক নয় তা অবশ্য ফলাফল ঘোষণা শুরুর পর থেকেই স্পষ্ট হতে থাকে৷ ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)-র বড় বড় নেতাদের পরাজয়ের খবর আসতে শুরু করেছে৷ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সংসদের স্পিকারও আছেন সেই তালিকায়৷ ইউএসডিপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হ্তায় উ নিজের পরাজয় মেনেও নিয়েছেন৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য নির্বাচনে তাঁর এবং দলের খারাপ ফলাফল দেখে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর মতে, ইউএসডিপি মিয়ানমারের জনগণের কল্যাণে অনেক কাজ করেছে আর তাই দল জিতবে এমনটিই আশা ছিল তাঁদের৷ তবে বড় পরাজয়ের শঙ্কার মুখেও ভোটারদের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইউএসডিপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘‘এখন আমাদের পরাজয়ের কারণ জানতে হবে৷''
নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অং সান সু চি ইতিমধ্যে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন৷
ভাষণে ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে তাঁর দল অন্তত ৭০ ভাগ আসনে জিতবে বলে আশা প্রকাশ করেন৷
মিয়ানমারের জনগণ এ নির্বাচনকে ‘মুক্তির সুযোগ' হিসেবে দেখছে৷ মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনাপর্ব হিসেবেও এ নির্বাচনকে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক৷ তবে একটি প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে৷ মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য কি এ নির্বাচন কোনো সুসংবাদ? তেমন কোনো ইঙ্গিত আসলেই দেখা যাচ্ছে না৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ