মিয়ানমারে নির্বাচন
৬ নভেম্বর ২০১৫রবিবার মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন৷ এ নির্বাচনকে মিয়ানমারে আবার গণতান্ত্রিক শাসনের দ্বারোন্মোচন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত হতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷ সংবাদ মাধ্যমেও আসছে এমন বিশ্লেষণাত্মক খবর৷
নির্বাচনের নানা খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরে মিয়ানমারের বাইরের পাঠকদের কৌতূহলও মেটাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম৷
তবে মিয়ানমারের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গাদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের চেয়ে আতঙ্কই বেশি৷ নির্বাচনের পর ক্ষমতায় পরিবর্তন এলেও রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন কমবে এমন ভরসা তাঁরা পাচ্ছেন না৷
অবশ্য বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করায় মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী অং সান সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না৷ সু চি অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণায় বলছেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও নির্বাচিত হলে তিনি তার চেয়ে বেশি কিছু হবেন৷
এদিকে ৮ নভেম্বরের আগেও মিয়ানমারে অনেক সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মী কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাঁদের মুক্তি দাবি করছে৷
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার অনড়৷ তাই দেশটিকে মত প্রকাশের জন্য নিরাপদ মনে করা এখন প্রায় অলীক কল্পনা৷ অনেকেই মনে করেন, মিয়ানমারে শুধু কারাগার বা কবরস্থানেই শুধু খোলামনে কথা বলা যায়৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন