সুপ্রিম কোর্টে কানিমোড়ির জামিনের আর্জি
১০ জুন ২০১১টেলিকম দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমানে জেলবন্দি ডিএমকে দলের সাংসদ কানিমোড়ি আজ জামিনের আর্জি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে৷ এরআগে, দিল্লি হাইকোর্ট ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ির জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে দুর্নীতি নিয়ে যে তদন্ত করছে তাতে প্রাথমিকভাবে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, কানিমোড়ি এই দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত৷ কানিমোড়ি কার্যত কালাইনার টিভি কোম্পানির অন্যতম মালিক৷ তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সুযোগ থাকবে৷ দ্বিতীয়ত, তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি যথেষ্ট৷ ডিএমকে কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক৷
কানিমোড়ি ও শারদ কুমারের আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তি নাকচ করে দেন বিচারপতি৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁরা বলেন যে, ২০০ কোটি টাকা তাঁরা কালাইনার টিভির জন্য পেয়েছিলেন আন্ত:কর্পোরেট আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে৷ এরমধ্যে বেআইনি কিছু ছিলনা৷ উল্লেখ্য, টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ নেয়া হয় তার মধ্যে থেকে ২০০ কোটি টাকা যায় কালাইনার টিভিতে এমনটাই অভিযোগ৷
টেলিকম কেলেঙ্কারির অভিযোগে আরো একজন ডিএমকে মন্ত্রীর ইস্তফার মেঘ ঘনাচ্ছে৷ ইনি হলেন, বস্ত্রমন্ত্রী করুণানিধির নাতি দয়ানিধি মারান৷ তাঁর বিরদ্ধে অভিযোগ, তিনি জি.শিবশঙ্করন নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এয়ারসেল মোবাইল পরিষেবা সংস্থা থেকে তাঁর বিনিয়োগ তুলে নিতে বাধ্য করেছিলেন৷ তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এয়ারসেলের প্রমোটার কোম্পানি ম্যাক্সিস এরপরেই সান টিভিতে বিনিয়োগ করেছিল৷
অন্যদিকে, ডিএমকে দলের নির্বাচনী বিপর্যয় এবং টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো ডিএমকে পরিবারের ঘাড়ে ওপর যেভাবে নি:শ্বাস ফেলছে তাতে দলের প্রধান করুণানিধির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে৷ এর প্রেক্ষিতে আজ ডিএমকে দলের শীর্ষ বৈঠকে করুণানিধির সামনে খোলা দুটি পথ৷ কেন্দ্রে কংগ্রেস-জোট সরকারে থাকবে, না বেরিয়ে এসে বাইরে থেকে সমর্থন দেবে৷ দলের একাংশের মত, নির্বাচনী পরাজয়ে দল এমনিতেই দুর্বল, তাতে জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসাটা ঠিক হবেনা৷ আর যাঁরা কানিমোড়ির গ্রেপ্তারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছে তাঁদের মত হলো, মনমোহন সিং মন্ত্রীসভা থেকে ডিএমকে দলের ৬জন মন্ত্রীর ইস্তফা দেয়া উচিত৷ উল্লেখ্য,সংসদে ডিএমকে দলের ১৮জন সাংসদ তাঁদের মধ্যে ৬জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক