সিসিলি দ্বীপের স্থাপত্য
১২ অক্টোবর ২০১৮সিসিলির চড়া রোদের উত্তাপ গুলিয়েল্মো পারাস্পোরোর বাড়ির উপরেও পড়ে৷ দেখলে মনে হয় বাতাসই যেন বাড়িটিকে তার আকার দিয়েছে৷ বাড়িটি তার চারিপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে যেন মিশে আছে৷ ঘরে কার্যত কোনো কোণ নেই৷ সিসিলির ঐতিহ্য অনুযায়ী, বাড়িটি চুনাপাথর-ভিত্তিক প্লাস্টারে মোড়া৷ বাড়ির চ্যাপটা গোল আকারও ভূমধ্যসাগরীয় স্থাপত্যের ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই৷ বাড়ির মালিক গুলিয়েল্মো বলেন, ‘‘আফ্রিকার উত্তরে, বিশেষ করে ডামুসোস ও পান্টেলেরিয়ার মতো সিসিলির আশেপাশের নানা দ্বীপের স্থাপত্যরীতি, সেইসঙ্গে মরক্কোসহ উত্তর আফ্রিকার স্থাপত্য থেকে আমরা প্রেরণা পেয়েছি৷’’
প্রায় ১২০ বর্গ মিটার বড় বাড়িটির প্রাণকেন্দ্র হলো রান্নাঘর ও তার সংলগ্ন খাওয়াদাওয়ার জায়গা৷ বাড়ির ভেতরে সাদা রংয়ের উপর রঙিন সাজসজ্জা ও শিল্পের নিদর্শন দেখতে বেশ সুন্দর লাগে৷ গুলিয়েল্মো পারাস্পোরো বলেন, ‘‘এই অংশটিকেই বাসার হৃদয় বলা যেতে পারে৷ এখান থেকেই উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে৷ রোদের আলো প্রবেশ করে৷ পেছনেই চিমনি৷ জায়গাটা বেশ আরামদায়ক৷ সব কাজকর্ম এখান থেকেই শুরু হয়ে গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে৷’’
পারাস্পোরো বছরে বেশ কয়েক মাস সপরিবারে এখানেই কাটান৷ আসবাবপত্র বেশ কাজের উপযোগী, কিন্তু ডিজাইনও বেশ সুন্দর৷ গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে বাথটব বেশ কাজে দেয়৷
পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁলেও ঘর ঠান্ডা থাকে৷ জানলা এমনভাবে তৈরি, যাতে বাড়ির মধ্যে শীতল বাতাস চলাচল করে৷ তাছাড়া মোটা দেওয়ালও উত্তাপ প্রবেশ করতে দেয় না৷
দু-দুটি ছাদ বাড়তি আরামের সুযোগ দেয়৷ সেইসঙ্গে বাড়তি পাওনাও রয়েছে৷ ছাদ থেকে চারিপাশের সংরক্ষিত প্রকৃতি ও ভূমধ্যসাগরীয় পরিবেশ উপভোগ করা যায়৷
আন্টিয়ে বিন্ডার/এসবি