সিরিয়া নিয়ে রুশ-মার্কিন ঐকমত্য
৮ মে ২০১৩একদিকে কেরি, অন্যদিকে খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ এতদিনের রেষারেষি সরিয়ে রেখে তাঁরা সিরিয়ার পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে একটা ঐকমত্যে পৌঁছলেন৷ দুই পক্ষই এবার চায়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীরা অবিলম্বে হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করুক৷ তারপর আলাপ-আলোচনা সহ শান্তিপূর্ণ পথে সংকটের সমাধান করতে হবে৷ চলতি মাসের শেষেই সিরিয়া সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তুতি চলছে৷ গত বছর জুন মাসে জেনিভায় সিরিয়া বিষয়ক যে সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল, তাতেও একটি বোঝাপড়া হয়েছিল৷ তবে তা কার্যকর করা সম্ভব হয় নি৷ সিরিয়ার মানুষই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে – সেটাই ছিল তার মূলমন্ত্র৷
জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি সিরিয়ার প্রশ্নে অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার বোঝাপড়াকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, বহুদিন পর সিরিয়ার জন্য আবার কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ তবে এটা একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র৷ এবার নিরাপত্তা পরিষদের বাকি স্থায়ী সদস্যদের সমর্থন পেলেই অগ্রগতির প্রত্যাশা করা যেতে পারে৷
মস্কো এতকাল আসাদ সরকারকে সমর্থন ও সাহায্য দিয়ে এসেছে৷ অন্যদিকে বিদ্রোহীরা পশ্চিমা জগত থেকে নানা রকম সহায়তা পাচ্ছে৷ কিন্তু তার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে৷ এবার ওয়াশিংটন ও মস্কো সর্বশক্তি প্রয়োগ করলে হিংসা বন্ধ হতে পারে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷ তারপর সরকার ও বিদ্রোহীরা মিলে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে পারে৷
অর্থাৎ, অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা জগত যেভাবে বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছিল, সেই মনোভাবে রদবদল হয়েছে বলে মনে করছে রাশিয়া৷ ভবিষ্যৎ সমাধানসূত্রে আসাদকেও শামিল করা হলে তবেই যে কোনো চুক্তি টেকসই হবে বলে তাদের ধারণা৷ দুই পরাশক্তির এই ঐকমত্য সত্ত্বেও আসাদ ও বিদ্রোহীরা নিজেদের মধ্যে কতটা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তার উপর নির্ভর করবে অগ্রগতির সম্ভাবনা৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)