1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস ঘাঁটিতে বিমান হামলা

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস বা আইসিস) জঙ্গিদের ওপর প্রথমবারের মতো বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব মিত্ররা৷ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্ডান ও বাহরাইনও অভিযানে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন৷

https://p.dw.com/p/1DHMS
Syrische Flüchtlinge an der Grenze zur Türkei bei Suruc 23.09.2014
ছবি: Reuters/Murad Sezer

পেন্টাগনের বিবৃতি

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র শক্তি কেবল আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে না, সেখানকার অন্য জঙ্গি দলগুলো উচ্ছেদেও অভিযান চালাচ্ছে৷'' সব বিমানই সফলভাবে হামলা চালাচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে৷ বিবৃতিতে জানানো হয় বোমা হামলার সাথে সাথে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী৷

অন্য জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

মঙ্গলবার সিরিয়ায় অবস্থানরত আল-কায়েদা গ্রুপ আল-নুসরার ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী৷ এই হামলা চালানো হয় পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পো প্রদেশে৷ এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে আটজন বেসামরিক এবং সাতজন জঙ্গি সদস্য বলে দাবি করেছে ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়া অবজারভেটরি মানবাধিকার সংগঠন৷ জঙ্গি সংগঠন খোরাসান গ্রুপ লক্ষ্য করেও আটটি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

Grenze Syrien Türkei Flüchtlinge 22.9.2014
সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া কয়েকজন কুর্দিছবি: Reuters/Murad Sezer

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্র শক্তিদের মধ্যে জর্ডান হামলায় যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ জর্ডান সরকারের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর ঘাঁটি নির্মূলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হামলায় যোগ দিয়েছি৷''

যেসব স্থানে হামলা

আইএসআইএল-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ১৪টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে৷ তাদের সদরদপ্তর, অস্ত্র মজুদ কারখানা, ট্রাক ও অস্ত্র ভর্তি যানেও হামলা চালানো হয়েছে৷ মোট ৪৭টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়েছেন লোহিত সাগর এবং উত্তর আরব উপসাগর থেকে৷

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বক্তব্য

এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ মঙ্গলবার তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘এই হামলা প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করবে৷ তাছাড়া আমাদের বিশ্বাস, এ হামলা সিরিয়ার মাটি থেকে ইসলামিক স্টেটকে চিরতরে উৎখাত করবে৷ ''

খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে আইএস

সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্তবর্তী একটি বড় এলাকা দখলে নিয়ে সেখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে আইএস৷ ইরাকের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷ জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে থামাতে দেশ দুটির সরকার কার্যত ব্যর্থ হয়েছে৷ গণহত্যা, শিরশ্ছেদ, ধর্ষণ, অপহরণের মতো সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছে সংগঠনটি৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য