হ্যাশট্যাগ ‘নট ইন মাই নেম’
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪লন্ডনভিত্তিক অ্যাক্টিভ চেইঞ্জ ফাউন্ডেশন (এসিএফ) শুরুটা করেছে৷ আইএস বা আইসিস কর্তৃক এক ব্রিটিশ নাগরিককে হত্যার ভিডিও প্রকাশ এবং অপর এক ব্যক্তিকে জিম্মি করার খবর প্রকাশের পর শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা৷ খুব দ্রুতই এতে সাড়া মেলে৷ মূলত তরুণ ব্রিটিশ মুসলমানরা এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন৷ ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় (জার্মান সময় শুক্রবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত) ইংরেজি হ্যাশট্যাগ #নটইনমাইনেম ব্যবহার হয়েছে সাত হাজারের বেশি বার৷
‘নটইনমাইনেম' নামে রয়েছে টুইটার অ্যাকাউন্টও৷ ১৬ সেপ্টেম্বর এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয় এসিএফ-এর তৈরি একটি ভিডিও, যেখানে মুসলিম তরুণ-তরুণীরা আইএস-এর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷
গ্রাহাম টমলিন নামক একজন টুইটার ব্যবহারকারী জিহাদিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মুসলমানদের এই প্রতিবাদে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর টুইটটি রিটুইটও করেছেন কয়েকজন৷
আমির - কাশ্মীরের টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে একটি ছবি৷ সঙ্গে থাকা টেক্সটে লেখা হয়েছে, তরুণ ব্রিটিশ মুসলামনদের দেখুন যারা আইএস-কে প্রত্যাখান করেছে ‘নট ইন মাই নেম' প্রচারণার মাধ্যমে৷
হ্যাশট্যাগটির ব্যবহার শুধু মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ ট্রিপস্টার আনিকিল নামে টুইটারে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘আমি নিজে মুসলমান নই৷ তবে আমি অন্য সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসকে সম্মান করি৷ এবং ‘নট ইন মাই নেম' ক্যাম্পেইনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি৷''
আইজার আমদানের এ সংক্রান্ত একটি টুইট পুনরায় টুইট করা হয়েছে ৪৬ বার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আইসিস ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না৷ আমরা তাদের নিন্দা জানাই৷''
ইসলাম সহিংসতার ধর্ম নয় জানিয়ে টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন আইয়াজ তাজ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি এই জঙ্গিদের আমার ধর্ম কলঙ্কিত করতে দেবো না৷''
উল্লেখ্য, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইতোমধ্যে ইরাক এবং সিরিয়ার বেশ কিছু অংশ দখল করেছে৷ সম্প্রতি তারা দুই মার্কিন এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিককে শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করে৷ তাদের ধ্বংসে ইরাকে বিমান হামলা চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷