সাতশো কোটিতম শিশু বাংলাদেশেও
১ নভেম্বর ২০১১ঢাকার আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে৷ মোমবাতি জ্বেলে, কেক কেটে উদযাপন করা হয় শিশুর জন্মকে৷ এ শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছিল উৎসুক মানুষের ভীড়৷
তন্বী হোসেন জন্ম দিলেন তৃতীয় কন্যাশিশুর৷ আর এ তৃতীয় সন্তানটিই হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিকীভাবে পৃথিবীর সাতশ কোটিতম শিশু৷ আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে পৃথিবীর বুকে আসে ফুটফুটে এ শিশুটি৷ মোমবাতি জ্বেলে, কেক কেটে উদযাপন করা হয় শিশুর জন্মকে৷ সাতশ কোটিতম এ শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছিল উৎসুক মানুষের ভীড়৷
ইউএনএফপি'এর সেভেন বিলিয়ন অ্যাকশন প্রকল্পের অধীনে এ জন্মদিন পালন করা ছিল আনুষ্ঠানিকতা৷ উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপি'এর দেশীয় প্রতিনিধি আর্থার এরকেন৷ তিনি বলেন, ৭শ' কোটিতম এ শিশুকে পৃথিবীতে স্বাগতম৷ এখন এ শিশুর স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে সঠিক পরিবেশে বড় করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের৷ পৃথিবীর প্রতিটি শিশুই যেন হয় নিরাপদ৷
আর মতৃসদনে উপস্থিত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বললেন, আমাদের দেশে সম্পদের অভাব রয়েছে এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি৷ তাই সকলের মৌলিক অধিকার পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুই যেন সুস্থ ও সুন্দর হয়৷ আমরা যেন তাকে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারি৷
আজিমপুর মাতৃসদনে সাতশ কোটিতম শিশুকে দেখতে এসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম এম নিয়াজউদ্দিন বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মক্ষেত্র তৈরিতে আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে৷
শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. রোখসানা আইভীর তত্ত্বাবধানে সার্জারির মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশুটির ওজন ২ দশমিক ৭৫ কেজি৷ কনসালটেন্টের সহযোগী ছিলেন ডা. মাহফুজা, ডা. নাজরিনা সুলতানা এবং ডা. রওশন হোসনে জাহান৷ সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটির বাবা মহসীন হোসেন প্রত্যাশা করেন, অন্য ১০টি শিশুর মত তার সদ্যোজাত কন্যাও যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে বড় হয়৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক