মিশরে গণভোট
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ভোটগ্রহণ শুরুর মাত্র দুই ঘণ্টা আগে কায়রো আদালতের সামনে বিস্ফোরণ হয়েছে৷ তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷ ফলে ভোটাররা কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়৷
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন ইসলামিস্ট জোট ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে৷ তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে জনগণ যাতে না ভোট দেন৷ ওদিকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সহিংসতা ঠেকাতে দেশ জুড়ে কয়েক লাখ পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷
একটি ভোটকেন্দ্রের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেখানে মহিলারা মিশরের জাতীয় পতাকা হাতে সেনা সমর্থিত স্লোগান দিচ্ছিল৷ তবে ভোট যাই পড়ুক না কেন, সংবিধান যে পাশ হবে এ ব্যাপারটি মোটামুটি নিশ্চিত বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো৷
নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন এমন একজন নারী জানিয়েছেন, এই সংবিধানে নারীর অধিকার বাড়ানো এবং তাঁদের মতামত দেয়ার অধিকারের কথা বলা হয়েছে৷
বিশ্লেষকদের ধারণা, সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ালে বিজয়ী হবেন৷ ওদিকে সিসি জানিয়েছেন, জনগণের কাছে তাঁর যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা আছে৷ তাই প্রয়োজন হলে তিনিই নির্বাচনে দাঁড়াবেন৷
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের মনে এ সন্দেহ রয়েছে যে, ভোট বেশি না পড়লে ইসলামপন্থি দল মুসলিম ব্রাদারহুড এবং সমর্থকরা তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারবে৷
গত বছরের জুন মাসে মুরসির পতনের পর তুমুল সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ৷ আটক করা হয়েছে কয়েক হাজারকে৷
এপিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)