1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

র‌্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ এপ্রিল ২০১৪

৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় সরকার ও বিরোধী উভয়পক্ষকেই দায়ী করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ এমনকি ব়্যাবকে বিলুপ্ত করারও সুপারিশ করেছে তারা৷

https://p.dw.com/p/1BrIa
Bangladesch Wahlen 2014 Unruhen
ছবি: DW

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে জানায়, বিতর্কিত ওই নির্বাচনকে ঘিরে সংঘটিত সংঘর্ষে দেশব্যাপী শতাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছেন৷

এইচআরডাব্লিউ-র এশিয়া মহাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এটাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী নির্বাচন এবং এখনও পর্যন্ত দেশটিতে এ রকম যত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিষয়ে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷'' তাই এই সহিংসতার জন্য সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে দায়ী করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে৷

‘বাংলাদেশে বিরোধীপক্ষের সংঘর্ষ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্যাতন' শীর্ষক ৬৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ডাকে দেশব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর সদস্য বা নেতা-কর্মীরা দেশব্যাপী সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাস, মোটরচালিত অটোরিকশা এবং পণ্যবোঝাই ট্রাকে ক্রমাগত প্রেট্রাল বোমা ছুড়েছে৷ বেশ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, শিশুদের ওপরেও হামলা চালিয়েছে বিরোধীপক্ষের নেতা-কর্মীরা৷

এছাড়া নির্বাচনকালীন সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অপহরণের পর গুম করে ফেলা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও সর্বসাধারণের ব্যক্তিগত সম্পদ বিনষ্টের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলেও জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ৷ এই ক্রমবর্ধমান হত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন এই সংস্থাটি৷

র‌্যাবকে ভেঙে দিয়ে তার বদলে একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক প্রতিষ্ঠান তৈরির সুপারিশও করেছে তারা৷ নতুন সেই সংস্থা যেন সংগঠিত অপরাধ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানবাধিকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়৷ নতুন সংস্থার কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদের সামরিক বাহিনী থেকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷ যতদিন র‌্যাবকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না, ততদিন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের র‌্যাবে পাঠানো বন্ধ করা এবং কর্মরত সৈন্যদের আইন বলবতের দায়িত্বে নিয়োগ করা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি৷ এছাড়া ব়্যাবকে ভেঙে দেয়ার আগ পর্যন্ত সংস্থাটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে এইচআরডাব্লিউ৷

Bangladesch Gewalt Wahl Jamaat-e-Islami Nationalist Party BNP Aktivisten
৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতে নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষছবি: Reuters

র‌্যাবকে কোনো ধরনের সহযোগিতা না করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপারিশও রেখেছে সংগঠনটি৷ পাশাপাশি প্রতিবেদনে অন্যান্য দাতা সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলোকেও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে৷

প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ১২০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ তাঁদের মধ্যে আছেন ঘটনার শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য