জ্বালানি সংকট
২১ মার্চ ২০১২মিয়ামারের সঙ্গে সমূদ্রসীমা নিয়ে মামলায় জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশের সমূদ্রসীমা বেড়ে গেছে৷ গভীর সমূদ্রে বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান জানান, এর ফলে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বিপূল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে৷ তিনি জানান, বাংলাদেশের এখন উচিত হবে দ্রুত গভীর সমূদ্রে মৎস্য আহরণের ব্যবস্থা করা৷ এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে৷
তবে এজন্য প্রচলিত মৎস্য আহরণ পদ্ধতি কাজে আসবেনা৷ বাংলাদেশকে গভীর সমূদ্রে মৎস্য আহরণের উপযোগী জাহাজ ও জনবল তৈরি করতে হবে৷
তিনি জানান, ‘‘তেল আর গ্যাসের মত প্রাকৃতিক জ্বালানির কথা আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু বঙ্গোপসাগরে এখন তাড়াহুড়ো করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়া ঠিক হবেনা৷ প্রাথমিকভাবে গভীর সমূদ্রের তলদেশ থেকে নিজস্ব উদ্যোগে মিথেন হাইড্রেট সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তা থেকেই জ্বালানির চাহিদা অনেকটা মেটানো যাবে৷ আর দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি ‘বাপেক্স'-কে আরো আধুনিক করে পর্যায়ক্রমে গভীর সমূদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজে লাগাতে হবে৷''
ড. আসাদুজ্জামান বলেন, গভীর সমূদ্রের অধিকার পাওয়ার পর তা যদি আমরা বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে অনেক আশাই নিরাশায় পরিণত হতে পারে৷ তিনি এজন্য অবিলম্বে একটি নীতমালা তৈরির কথা বলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ