শীঘ্রই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি
২৬ ডিসেম্বর ২০১১নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সোমবার সকালে বঙ্গভবনে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে বসেন৷ সংগঠনের সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেয়৷ স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি তাঁদের জানান, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সবার মতামত নিতেই এ সংলাপ৷
সংলাপ শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়নের কথা বলা হলেও গত ৪০ বছরে তা করা হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নে গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছি আমরা৷ এ আইনের বিষয়ে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে৷ আর এই খসড়ায়, সিইসি ও ইসি নিয়োগে একটি সার্চ কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে৷''
সংলাপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির এমন উদ্যোগ ব্যর্থ হবে না বলেই মনে করেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের এই শরিক নেতা৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র সংলাপে আসা উচিত৷ তারা না এলে সংবিধান বসে থাকবে না৷
ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টি - জেপি'র সঙ্গেও সংলাপ করেন৷ সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধ দল সংলাপে অংশ নেয়৷ সংলাপ শেষে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি তাঁদের কাছে একটি নামের তালিকা চেয়েছেন৷ তাঁরা পরে সে তালিকা বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দেবেন৷''
প্রসঙ্গত, এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে৷ আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি এর আগেই নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন৷ এ নিয়োগের জন্য গত ২২শে ডিসেম্বর থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ