বিজ্ঞানে আগ্রহ হবে কিভাবে?
২৯ মার্চ ২০১৬প্রতিবছর প্রায় দুই লক্ষ ৭০ হাজার দর্শক ফেনোতে যায়৷ এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের দলও আছে৷ বিজ্ঞান কেন্দ্রের গাইড গিজেলা ক্রাউজে-ব্যার্থেল জানান, ‘‘ফেনোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন শিশুরা বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে মজা পায়৷ কোন বিষয়ে তারা পরীক্ষা করতে চায় সেটা নিজেরাই ঠিক করে৷ এভাবে তারা মনোযোগ ছাড়াই অনেককিছু শিখতে পারে৷''
শিশুরা যখন নিজেরা চেষ্টা করে কোনো সমাধান বের করে তখন সেই তথ্য তাদের মস্তিষ্কে ভালোভাবে গেঁথে যায়৷ শিশুরা তাদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করে এবং এভাবে তারা আনন্দ পায়৷
পেরেকের বিছানার উপর নিজেদের ওজন ভাগ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি ফেনোতে গিয়ে বুঝতে পারে শিক্ষার্থীরা৷ মাকড়সা কীভাবে শৈল্পিক উপায়ে তাদের বাসা বানায় সেটাও শিশুরা নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারে৷
ফেনোর একটি ল্যাবে পৃথিবী নিয়ে ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা আছে৷ সেখানে শিশুরা কেঁচো কীভাবে ত্বক দিয়ে শ্বাস নেয় আর কীভাবে নড়াচড়া করে তা জানতে পারে৷
এছাড়া খাবার পানি কীভাবে তৈরি হয়েছে? পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট কীভাবে কাজ করে এ সম্পর্কেও ধারনা পায় শিশুরা৷
ফেনোর লক্ষ্য শিশুদের অনেক আনন্দ দেয়া আর তাদের কৌতূহলকে জাগ্রত করে তোলা৷ শিক্ষার্থীদের যদি নিজে নিজে শেখা আর অনেক অনুশীলন করানোর মাধ্যমে উৎসাহিত করে তোলা যায়, তাহলে তারা কৌতূহলী হয়ে বেড়ে ওঠে, তাদের মধ্যে জানার আগ্রহ গড়ে ওঠে৷
জেডএইচ/ডিজি