লাদেনের মৃত্যু- প্রশ্ন, প্রতিক্রিয়া
৩ মে ২০১১এদিকে লাদেনের মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে৷ মার্কিন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অ্যাবেটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর গুলিতে নিহত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চূড়ান্তভাবে দেখা গেছে, নিহত ব্যক্তি ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার হোতা বিন লাদেন৷ যে হামলায় ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ মার্কিন বার্তামাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতের ঐ নাটকীয় অভিযানের ভিডিও চিত্র হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একত্রে দেখেন৷ একসময়ে ওবামা বলেন, ‘‘উই গট হিম৷'' সিচুয়েশন রুমের প্রবল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়ে আসে যখন সিআইএ প্রধান লিয়ন প্যানেটা ঘোষণা করেন, ‘‘জেরোনিমো' ওয়াজ নাউ ‘ইকিয়া'', জেরোনিমো লাদেনের কোড নাম এবং ইকিয়া অর্থাৎ অভিযানে শত্রু মারা গেছে৷ ঐ অভিযানে আরো ৫ জন প্রাণ হারায়৷ লম্বা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিটিকেই জেরোনিমো বলে শনাক্ত করা হয়৷
এদিকে মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, পাকিস্তানে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিন লাদেনের নিহত হবার ঘটনা পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে প্রচুর প্রশ্নের জন্ম দিলেও, পশ্চিমা বিশ্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ঝগড়া করবে না৷ তিনি বলেন, ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান বিশ্বস্ত মিত্র৷ সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গুরুতর অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি দেখা দেবে৷ মঙ্গলবার বিবিসি রেডিওকে ক্যামেরন বলেন, পাকিস্তানে কী ধরণের সমর্থন বিন লাদেন পেয়েছিল তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ এবং ঐ সব প্রশ্নের উত্তর আমাদের প্রয়োজন৷
এদিকে বিন লাদেন হত্যার একদন পরে পাকিস্তানে মঙ্গলবার বিশেষ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা কোন বিক্ষোভ দেখা যায়নি৷ শুধু পাকিস্তানের গ্যারিসন শহরে বছরের পর বছর ধরে আল কায়েদা নেতার বসবাস নিয়ে যেন মানুষের মধ্যে এক ধরনের সংকোচের ভাব বিরাজ করছিল৷ তবে ইসলামী জঙ্গিরা বিন লাদেনের জন্যে বিশেষ প্রার্থনা করেছে বলে জানিয়েছে৷ ওদিকে পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার বিবিসিকে বলেছেন, অ্যাবেটাবাদের যে প্রাঙ্গনে রবিবার মার্কিন বাহিনী অভিয়ান চালিয়েছে, তারা সেখানে ২০০৩ সালে অভিযান পরিচালনা করেছিল৷ এছাড়া পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেছেন, ঐ হত্যাকান্ড প্রমাণ করে না যে সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান ব্যর্থ৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক