1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা সমস্যা

২৫ ডিসেম্বর ২০১২

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ৷ এছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে তারা৷

https://p.dw.com/p/178mn
ছবি: Reuters

সোমবার সাধারণ পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মুসলমান-বৌদ্ধ সংঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়৷ এর আগে গত মাসেও সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির বৈঠকে প্রায় একই ধরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে৷ সেই প্রস্তাবের পরই মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিচ্ছে তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সংখ্যালঘু হিসেবে উল্লেখ করার প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা৷ জাতিসংঘে মিয়ানমারের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘মিয়ানমারের উপজাতিগুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা বলে কোনো জাতিসত্তার অস্তিত্ব নেই৷ তবুও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো গোষ্ঠীর সদস্য কিংবা ব্যক্তির নাগরিক অধিকারের প্রতি আগে কখনও অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না৷''

Myanmar Gewalt zwischen Rohingya Muslime und Buddhisten
সংঘর্ষে পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করছেন মিয়ানমারের এক সেনাছবি: Reuters

সোমবারের জাতিসংঘ প্রস্তাবে আবারও ‘রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷' এছাড়া জাতিসংঘ সেদেশের ‘সরকারের প্রতি তাদের পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং জাতীয়তার অধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে৷'

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলবর্তী রাখাইন রাজ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করে৷ কিন্তু রাখাইনের বৌদ্ধরা এবং দেশটির অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে বিবেচনা করে এবং তাই রোহিঙ্গারা কোনো নাগরিক অধিকার এবং অনুকম্পার যোগ্য নয় বলে মনে করে তারা৷ গত জুন মাস থেকে রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷

তবে এই সহিংস ঘটনার পর রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, গ্রেপ্তার এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ বিশেষ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ তবে দেশটির সরকার বলছে, সহিংসতা বন্ধে ‘সর্বোচ্চ সংযমে'-র সাথে পদক্ষেপ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এছাড়া ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের বক্তব্য, ‘‘এসব অতিরঞ্জিত এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই সাজানো অভিযোগের ঝুলি মাত্র৷''

এএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য