1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

রাশিয়ার জেলে ব্রিটনির কাছে মার্কিন কর্মকর্তারা

৪ নভেম্বর ২০২২

মাদক রাখার অপরাধে রাশিয়া আগেই ব্রিটনিকে কারাদণ্ড দিয়েছে। অ্যামেরিকা অবশ্য অপরাধ মানতে নারাজ।

https://p.dw.com/p/4J3D2
রাশিয়ায় বন্দি মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়
ছবি: Vyacheslav Prokofyev/TASS/dpa/picture alliance

মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারকে রাশিয়ার জেলে গিয়ে দেখে আসলেন মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ অফিসাররা তাকে জেলে দেখতে দেখতে গেছিলেন। গত মাসে আটক করা হয় ব্রিটনিকে। তার অপরাধ, এক গ্রামেরও কম গাঁজার তেল সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার করার পর রাশিয়ার আদালত তাকে নয় বছরের সাজা দিয়েছে। ব্রিটনি অবশ্য উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। তার আপিল বাতিল হলেও বিচার পদ্ধতি এখনো পুরো শেষ হয়নি। তা শেষ হলেই ব্রিটনিকে আরো কঠোর পেনাল কলোনিতে পাঠানো হবে বলে রাশিয়া জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ব্রিটনির সঙ্গে কর্মকর্তাদের দেখা হওয়ার জো বাইডেনের অফিস থেকে টুইট করা হয়।

অ্যামেরিকার বক্তব্য, অন্যায়ভাবে ব্রিটনিকে আটক করা হয়েছে। অগাস্টে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই ব্রিটনিকে মুক্ত করার নানা পদ্ধতি দেখতে শুরু করেছে অ্যামেরিকা। এমনকি, বন্দি প্রত্যার্পণের ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে। ব্রিটনির বদলে অ্যামেরিকায় বন্দি ভিক্টর বউটকে ছেড়ে দিতে পারে মার্কিন প্রশাসন। রাশিয়ার সঙ্গে এবিষয়ে ইতিমধ্যেই কথা শুরু হয়েছে। বেআইনি অস্ত্র বিক্রেতা ভিক্টর রাশিয়ায় প্রভাবশালী। অ্যামেরিকায় ধরা পড়ার পর তিনি ২৫ বছরের শাস্তি ভোগ করছেন।

তবে কেবল ব্রিটনি নয়, অ্যামেরিকা চায় ভিক্টরের বদলে আরো এক মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরাতে। সাবেক মার্কিন সেনা পল ওয়েলানকেও চায় অ্যামেরিকা। তথ্যপাচারের অপরাধে তাকে ১৬ বছরের শাস্তি দিয়েছে রাশিয়া। পলও জেলে বন্দি। অ্যামেরিকা চাইছে ভিক্টরের বদলে ব্রিটনি এবং পলকে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটনির সঙ্গে দেখা করার পর ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি নেড প্রাইস বলেছেন, 'ব্রিটনি সুস্থ আছেন। নিজেকে শক্ত রেখেছেন। আমরা আশ্বাস দিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব তাকে মুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।' বাইডেন প্রশাসন প্রথম থেকেই ব্রিটনির গ্রেপ্তার নিয়ে সরব। তাদের বক্তব্য, সম্পূর্ণ ভুল কারণে ব্রিটনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও অ্যামেরিকার এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নয় রাশিয়া।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)