1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রানার অবৈধ সম্পদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ এপ্রিল ২০১৪

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক৷ এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হচ্ছে৷ জানা গেছে, রানার প্রকাশ্য বৈধ সম্পদের চেয়ে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদের পরিমাণই বেশি৷

https://p.dw.com/p/1BnJM
Bangladesch Rana Plaza Rettungsaktion 26.04.2013
ছবি: Reuters

আদালতের নির্দেশে রানার কিছু সম্পদ অবশ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এর মধ্যে রয়েছে রানা প্লাজার ১৮ ভাগ, রানা টাওয়ারের ১৪ ভাগ এবং রানার গ্রামের বাড়ির ১৭৪ শতাংশ জমি৷ কিন্তু বাস্তবে রানার আরো বিপুল পরিমাণ স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদ আছে৷

দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক-এর সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন যে, তাঁরা রানার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন৷ তাঁদের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ তাই দ্রুত তাঁরা এই অবৈধ সম্পদ নিয়ে রানার বিরুদ্ধে মামলা করবেন৷

জানা গেছে, সাভার শহরে রানার আরো একটি বাড়ি, দুটি তেল কল, সাভারের বাইরে দুটি আধুনিক ইটভাটা, সাভারে দুটি প্লট এবং ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকার খোঁজ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া তাঁর বেনামে বেশ কয়েকটি অংশীদারি ব্যবসার কথাও জানা গেছে৷ এছাড়া রানা প্লাজা ও রানা টাওয়ারের মালিকানা যথাক্রমে ১৮ এবং ১৪ ভাগ দেখানো হলেও, বাস্তবে বাকি শেয়ারও রানার৷ তিনি বেনামে এ সব শেয়ার তাঁর দখলে রেখেছেন৷

সাভারের সাংবাদিক নাজমুল হুদা ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘একটি মহল রানার অবৈধ সম্পদ রক্ষায় নানাভাবে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছে৷ তারা অংশীদারি ব্যবসা থেকে রানার নাম গোপন করতে চাইছে৷''

তিনি জানান, ‘‘রানা সাভারে অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও আছে৷ এই অবৈধ ব্যবসার টাকা তিনি নগদে রাখতেন৷ ব্যাংকে রাখতেন না৷''

রানার এই বিপুল পরিমাণ টাকা সাভারে কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে আছে বলে তিনি জানান৷ তাঁরা রানার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত৷ তাছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেও রানার টাকা আছে৷ নাজমুল জানান, ‘‘রানা তাঁর নামে ৮ তলা রানা প্লাজা নির্মাণ করেছেন কোনো ব্যাংক ঋণ ছাড়াই৷ এ থেকেই তাঁর অর্থ বা বিত্তের পরিমাণ বোঝা যায়৷'' রানা আটক হওয়ার পর তাঁর ইটভাট, তেল কল, অংশীদারি ব্যবসা সবই চালু আছে বলে জানান তিনি৷

গত বছরের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১,১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন৷ রানা ঘটনার সময় ভবনের নীচ তলায় তাঁর অফিসেই ছিলেন৷ সেখান থেকে বের হয়ে তিনি প্রভাবশালীদের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়ার পর, সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়৷ যুবলীগের এই নেতা আওয়ামী লীগের গত পাঁচ বছরে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন৷ অভিযোগ আছে, রানা প্লাজার জমি তিনি নাম মাত্র দামে জোর করে লিখিয়ে নিয়েছিলেন৷

রানা প্লাজা ধসের পর সোহেল রানার বিরুদ্ধে মোট দুটি মামলা হয়৷ নিহত এবং আহতের মামলায় রানার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে চার্জশিট দেয়া হয়েছে৷ সম্পত্তি নিয়ে দুদক-এর এ মামলাটি হবে তৃতীয় মামলা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান