1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজধানীতেই থাকছে না কার্ড, ন্যায্য মূল্যে পণ্য থাকছে

১৬ মার্চ ২০২২

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মুখে এক কোটি বিশেষ কার্ড বিতরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই কার্ড নিয়ে শুরুতেই দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা৷ তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কার্ড না হলেও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি চলবে৷

https://p.dw.com/p/48Zpb
পলিথিন ব্যাগের অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হচ্ছেছবি: Abdul Halim

সরকার এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চার ধরনের পণ্য দেবে ২০ মার্চ থেকে। ১৫ মার্চ থেকে দেয়ার কথা থাকলেও কার্ড প্রস্তুত না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এই কার্যক্রম ঢাকা শহরে এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে ঢাকায় কার্ড তৈরি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে টিসিবি। বরিশাল সিটিতেও কার্ড হবে না।

টিসিবির মাধ্যমে একটি পরিবারকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুইবার করে সয়াবিন তেল দুই লিটার, চিনি ও মসুর ডাল দুই কেজি এবং পেঁয়াজ কমপক্ষে দুই কেজি কেজি কেনার সুযোগ দেয়া হবে। যাদের কার্ড থাকবে না, তারা কিনতে পারবেন না।  তাদের কাছে সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটার, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে। সবকিছুর দামই বাজারের চেয়ে কম। বিশেষ করে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা করে।

‘এখনো সারাদেশে টিসিবির পণ্য পাঠানো হয়নি’

৬ মার্চ থেকে ঢাকা শহরে মোট ১৮৫টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। প্রতিদিন চার ধরনের পণ্য প্রতিটি ট্রাকে থাকছে দুই হাজার ৫০০ কেজি করে। ঢাকা শহরে ১২ লাখ পরিবারকে এই পণ্য দেয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরে পাবে এক কোটির বাকি ৮৮ লাখ পরিবার।

ঢাকার বাইরে করোনার সময় যারা প্রণোদনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দুই হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন তারাসহ নিম্নবিত্ত  আরো ৬১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার কার্ড পাচ্ছে।

কার্ড নিয়ে জটিলতা

টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুয়েল আহমেদ জানান, এখানো কেউ টিসিবির কার্ড হাতে পাননি। ঢাকার বাইরে ডিসিদের সমন্বয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এই কার্ড তৈরি করছেন। যারা করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা পেয়েছেন, তারা এবং আরো যারা নিম্নবিত্ত আছেন, তারাও এই কার্ড পাবেন। তিনি জানান, "দুইটি কার্ড হবে। একটি কার্ড ডিলারদের হাতে থাকবে। আরেকটি উপকার ভোগীদের হাতে। দুইটি কার্ড মিলিয়ে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে।”

‘কার্ড পাওয়া গেলে তখন আমরা বুঝবো অনিয়ম হয়েছে কিনা’

তবে ঢাকা শহরে কার্ড না করা হলে আগের মতোই বিশৃঙ্খলা হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, " আমরা ঢাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে তালিকা চেয়েছি। পাবো কিনা জানি না। যদি না পাই তাহলে অমোচনীয় কালি ব্যবহারের প্রস্তাব আছে। জানি না কী হবে। কার্ড না হলে শত শত মানুষ ট্রাকের সামনে লাইন দেবে। সবাইকে দিতে পারবো না।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘এখানো সারাদেশে টিসিবির পণ্য পাঠানো হয়নি। তাই ঢাকার বাইরে কার্যক্রম শুরু করতে দেরি  হচ্ছে।”

তবে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন দাবি করেন, " কার্ড তৈরি হয়ে গেছে। পণ্যও চলে গেছে। কিন্তু পলিথিন ব্যাগের অভাবে কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হচ্ছে।”

এই কার্ড তৈরিতে  খুলনাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চল থেকে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা এই কার্ড দেয়ায় কোথাও কোথাও স্বজন প্রীতি ও লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, " এখানো তো কার্ডই পাওয়া যায়নি। কার্ড পাওয়া গেলে তখন আমরা বুঝবো অনিয়ম হয়েছে কিনা। ”

আর টিসিবির মুখপাত্র বলেন, "কার্ডের সাথে টিসিবির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা মেম্বার-চেয়ারম্যনরা করছেন। ডিসি সাহেবরা দেখছেন । তারা বলতে পারবেন। আর ঢাকা শহরে কার্ড করা সম্ভব নয়, কারণ, এখানে অনেক ভাসমান মানুষ আছে।”