1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ

১১ জুন ২০১৪

নাইজেরিয়ায় দুই শতাধিক মেয়েকে অপহরণ এবং সাম্প্রতিক কিছু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জোরালো পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷

https://p.dw.com/p/1CFTo
Angelina Jolie und William Hague 10.06.2014 London
ছবি: Reuters

জোলি ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ-এর ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্ব নেতারা মঙ্গলবার একজোট হয়েছেন৷ যৌন সহিংসতা বন্ধের জন্য প্রথম বৈশ্বিক সম্মেলন হচ্ছে লন্ডনে, যা চলবে ১৩ জুন পর্যন্ত৷ এতে অংশ নিচ্ছেন ১৫০টি দেশের মন্ত্রী, সেনা, ধর্মীয় নেতা, বিচারক ও দাতা সংস্থার কর্মীরা৷ সম্মেলনে তাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের কী শাস্তি দেয়া হতে পারে৷

এ সম্মেলনে নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম কর্তৃক অন্তত ২০০ জন মেয়ের অপহরণ, পাকিস্তানে অনার কিলিং-এর নামে পাথর ছুঁড়ে নারী হত্যা, গণধর্ষণ এবং ভারতে দুই নারীকে ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে দেয়া – এই ঘটনাগুলো প্রাধান্য পাবে৷

Indien Vergewaltigung Uttar Pradesh Proteste
ভারতে দুই নারীকে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো এ ধরণের ভয়াবহ অপরাধের পরও অপরাধীদের কোনো শাস্তির মুখোমুখথি হতে হয় না৷ এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক একটি প্রটোকল ঠিক করা হবে – কিভাবে এ সব ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত করা যায়৷''

স্কাই টেলিভিশনকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে রবিবার হেগ বলেন, ‘‘তথ্য-প্রমাণের অভাবে অপরাধীরা বরাবরই পার পেয়ে যায় এ ধরনের জঘণ্য একটা অপরাধ করে৷ সম্প্রতি কয়েক দশকে এ ধরনের নির্যাতন বেড়ে গেছে, একবিংশ শতাব্দীতে যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য৷''

তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের সময় যদি নারীদের সম্মানের চোখে না দেখা হয়, তবে যুদ্ধ শেষে সেখানে শান্তি এলেও নারীরা সে সম্মান ফিরে পান না৷'' যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানি এবং পরবর্তীতে তাঁদের দুর্দশার চিত্র তিনি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ‘মুভি ইন দ্য ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি'-তে দেখেছেন৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হেগ এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূত জোলি কঙ্গো ও বসনিয়া সফর করেছেন৷

বলা বাহুল্য, যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের সম্মানহানি নতুন কিছু নয়৷ দুই দশক আগে বসনিয়া যুদ্ধে ধর্ষিত হয়েছিলেন ৫০ হাজার নারী৷ বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধেও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল বিরাঙ্গনাদের৷ আজ বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে অথচ বিরাঙ্গনাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না কেউ৷ পর্দার আড়ালে নিরবে কেটে যাচ্ছে তাঁদের নিগৃহীত জীবন৷ অনেক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ির কথা উচ্চারণ করা হলেও, স্বাধীনতার এত বছর পরও তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন ঘটেনি এঁদের জীবনে৷

বিশ্বব্যাপী যৌন নির্যাতন বন্ধে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও৷ লন্ডনের এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেরি বলেন, ‘‘প্রতিটি দেশের নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার৷ তাই তা বন্ধ করতে দরকার কূটনৈতিক উদ্যোগ ও একটি মানদণ্ড, যা এই অপরাধ বন্ধে কার্যকর হবে৷''

আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে মঙ্গলবার দফায় দফায় বেঠকের পর, বুধবার যৌন নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক ‘প্রটোকল'-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে৷ বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়া নিয়ে ১০০টি দেশের মন্ত্রীদের নিয়ে হেগের নেতৃত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ শুক্রবারের সমাপনী অধিবেশনটি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বক্তব্য দেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে৷

এপিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য