আযাদকে ফাঁসির আদেশ
২১ জানুয়ারি ২০১৩আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগের ৭টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে৷ তাই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধ এবং অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানান যে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে৷ তবে আপিল করতে হলে আবুল কালাম আযাদকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে৷ বর্তমানে আবুল কালাম আজাদ পলতাক আছেন৷
সোমবার রায় ঘোষণার সময় ট্রাইবুনালে আবুল কালাম আযাদের কোনো আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন না৷ তবে তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা বলেন৷
এদিকে, এই রায়ের পর দেশের সুশীল সামজের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তাঁরা একে ঐতিহাসিক রায় অভিহিত করে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান৷ আর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এই রায়কে যথার্থ বলে মন্তব্য করেন৷ সাধারণ মানুষও জানান তাঁদের প্রতিক্রিয়া৷
গত বছরের ৩রা এপ্রিল ট্রাইবুনাল আবুল কালাম আযাদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়৷ আর তখনই তিনি আত্মগোপনে চলে যান৷ তিনি দেশের বাইরে পালিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ৷ তাই তার অনুপস্থতিতেই বিচার কাজ শেষ হয়৷ পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি কোন দেশে আছেন তা তাঁরা জানতে পেরেছেন৷ তাঁরা চেষ্টা করছেন আবুল কালাম আযাদকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে৷
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ ট্রাইবুনালে মোট ১৭টি মামলা আছে৷ আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে রায়ের পর, এখন আরেক জাময়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার রায় দেয়া হবে যে কোনো দিন৷