মধ্যপ্রাচ্য সংকট
২১ নভেম্বর ২০১২
বুধবার তেল আভিভে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসে বোমা হামলা হয়৷ এতে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
হামাস এই হামলার দায় স্বীকার করেনি৷ তবে হামলার খবরে আনন্দ প্রকাশ করে হামাস মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে এটা তার উত্তর৷ প্রকৃতি নিজেই ইসরায়েলের জন্য এই শাস্তির ব্যবস্থা করেছে বলে হামাস বলছে৷
ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও হোয়াইট হাউস একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে৷
এদিকে মঙ্গলবার যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তা হয়নি৷ ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলছেন, শেষ মুহূর্তে হামাস ও ইসরায়েলের আলোচকদের মধ্যে একটা বিষয়ে সমাধান না হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি৷
ফলে চলছে হামলা, পাল্টা হামলা৷ মঙ্গলবার সারা রাতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গাজার প্রায় একশোটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷
মধ্যরাতের পর হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের দিকে চারটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সেনার এক মুখপাত্র৷ এছাড়া দুটি রকেট আকাশেই নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছে৷
এসব হামলায় মঙ্গলবার ২৬ জন ফিলিস্তিনি ও দুইজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে৷ আর বুধবার এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে আরও নয় ফিলিস্তিনি৷ ফলে সব মিলিয়ে ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি ও পাঁচজন ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে এখন পর্যন্ত৷
সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ এসময় নেতানিয়াহু ক্লিন্টনকে বলেন, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে যদি রকেট হামলা বন্ধ হয় তাহলে সমস্যার একটা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে তিনি রাজি আছেন৷
নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর ক্লিন্টন রামাল্লায় গিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও কথা বলেছেন৷ এরপর কায়রোয় গিয়ে আলোচনা করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে৷
এদিকে চীন এতোদিন মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধানে তেমন সরব না থাকলেও এবার জানা গেছে যে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের একজন প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার চীন সফরে যাচ্ছেন৷ সেখানে তিনি সংকট নিয়ে কথা বলবেন চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)