1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে রাজ্য নির্বাচন

১৫ মে ২০১৭

কয়েক মাস আগেও ঘরে-বাইরে অনেকেই ধরে নিচ্ছিল, জার্মানির আগামী নির্বাচনে আঙ্গেলা ম্যার্কেল হয়ত ধাক্কা খাবেন৷ পরপর তিনটি রাজ্য নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে দলের জয়ের পর নিন্দুকদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল৷

https://p.dw.com/p/2cxmE
ম্যার্কেল
ছবি: DW/C. Ozdemir

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হিসেবে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের যে গুরুত্ব, জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যেরও সেই প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে৷ তাই সেপ্টেম্বর মাসের সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই রাজ্যের ক্ষমতা পেয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল৷

সারলান্ড ও শ্লেসভিক হলস্টাইন রাজ্যের পরএবার এই নিয়ে তৃতীয় জয়৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে রবিবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সিডিইউ দলের ভরাডুবি হয়েছে৷ আগামী জোট সরকার গড়তে চলেছে সিডিইউ দল৷

এই অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে ম্যার্কেলের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলো, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ বিশেষ করে নিজের শিবিরে তাঁর নেতৃত্বকে ঘিরে সংশয় অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে ম্যার্কেল নিজে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সংযত মনোভাব প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, জয়ের আনন্দে ভেসে যাবার কোনো অবকাশ নেই৷ সুখবর সত্ত্বেও সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোনো ঢিলেমি চলবে না৷ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আসরে নামতে হবে৷

কিছুদিন আগে পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচনে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এসপিডি দলের নেতা মার্টিন শুলৎসকে ঘিরে প্রবল উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল৷ পর্যবেক্ষকরা বলছিলেন, অবশেষে ম্যার্কেলের গদি টলাতে যোগ্য নেতা আসরে নেমেছেন৷ তাঁকে ঘিরে দলের মধ্যেও জোরালো উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল৷ অথচ তাঁরই নেতৃত্বে তিন-তিনটি রাজ্যে ক্ষমতা হারালো এসপিডি৷ শুলৎস অবশ্য দমে যাবার পাত্র নন৷ রবিবার তিনি বলেছেন, রাজ্য নির্বাচনের সঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের তুলনা করলে চলবে না৷ রাজ্যে ভোটারদের সামনে আঞ্চলিক বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব পায়৷ তাছাড়া সবে দলের হাল ধরেছেন তিনি৷ তাই পরাজয়ের সব দায়িত্ব তিনি নিতে প্রস্তুত নন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

সিডিইউ দলের এই ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যার্কেলের নেতৃত্বে এই দল এমন সব বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছে, যা ভোটারদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমন পরিবহণ, শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইত্যাদি৷ অন্যদিকে এসপিডি নেতা শুলৎস সামাজিক ন্যায়ের মতো বৃহত্তর বিষয়ে বেশ অস্পষ্ট কথা বলে আসছেন৷ প্রথমদিকে এমন ভাসা ভাসা কথা তাঁকে কিছুটা সুবিধা এনে দিলেও এবার তাঁর উপর স্পষ্ট অবস্থান নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ম্যার্কেলের বিকল্প পথ দেখাতে পারলে তবেই সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন তিনি৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)