1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে ইন্টারনেট বন্ধ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিক্ষোভ থামাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করল সেনা। এখনো বন্দি সু চি। মিয়ানমারের রাস্তায় বিক্ষোভ অব্যাহত। 

https://p.dw.com/p/3pPS2
মিয়ানমার
ছবি: REUTERS

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আগেই রাশ টানা হয়েছিল, এবার মিয়ানমারে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সেনা। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে প্রায় গোটা দেশেই সেনা সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা ক্ষমতা দখল করার পর এই নিয়ে চারবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হলো। তবে গোটা দেশেই একইরকম ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, গোটা দেশেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

বিরোধীদের আন্দোলন বন্ধ করতে একের পর এক চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। রোববার থেকে রাস্তায় সেনার সাজোয়া গাড়ি নামানো হয়েছে। ইয়াঙ্গন সহ একাধিক রাজ্যে সেনা টহল দিচ্ছে। সোমবার সেনা এবং সাজোয়া গাড়ির সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবাদীরা যে সমস্ত জায়গায় নিয়মিত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেখানে পুলিশের জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সোমবারের বিক্ষোভেও পুলিশ রবার বুলেট ছুড়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অনেককে। তারই মধ্যে সোমবার রাত থেকে কার্যত গোটা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের কাছে সেনা বাহিনীর জুলুমের ছবি পাঠাচ্ছিলেন তাঁরা। সে কারণেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্র অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

মিয়নমারের সব চেয়ে বড় টেলিকম সংস্থা টেলিনর জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। তবে তাদের সাইটে কোথায় কোথায় ইন্টারনেট বন্ধ, তার কোনো তালিকা প্রকাশ করা হবে না। সাধারণত, টেলিনর নিজেদের সাইটে ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত খবরাখবর দিয়ে থাকে। কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ হলে তা সাইটে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে, তালিকা প্রকাশ করলে কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সেনা সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

সু চি কী করছেন

অং সান সু চিকে সোমবার ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন এমনই জানিয়েছিল সেনা। কিন্তু সোমবার জানানো হয়েছে, অন্তত বুধবার পর্যন্ত তাঁকে আটক রাখা হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গোটা দেশে যে ভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে সু চিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে না। দেশের অন্যান্য মন্ত্রী এবং রাজনীতিবিদদেরও এখনো আগের মতোই আটক রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভ থামাতে

বিক্ষোভ থামাতে আরো কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সেনা। রাস্তায় রাস্তায় সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ আরো জোরদার করা হয়েছে। রবার বুলেটের ব্যবহার অনেক বাড়ানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বলা হয়েছে, সেনার বিদ্রোহ সমর্থন না করলে দীর্ঘদিনের জন্য জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। বিপুল অর্থ জরিমানারও ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ বন্ধ হচ্ছে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)