1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ নিহত ২

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

https://p.dw.com/p/4c2eK
মিয়ানমারের শান রাজ্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করা অস্ত্র পরীক্ষা করে দেখছেন বিদ্রোহীরা
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেনছবি: Kokang online media via AP/picture alliance

আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেলটি এসে পড়ে।

নিহত নারী জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫৫)। বেলা পৌনে তিনটার দিকে রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য রান্নাঘরে যান হোসনে আরা। তখন মর্টারশেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। আর আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সি ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপার থেকে তুমুল গোলাগুলি ও হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে সীমান্তে অবস্থানরত একাধিক সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জনের বাংলাদেশে আসার তথ্য জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ নিয়ে আজ সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে৷ বিজিবি নাসাকা সদস্যদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷ এর আগে রোববার ৫৮ জন বিজিপি সদস্য সীমান্তে আশ্রয় নেয় বলে জানান বিজিবির কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম৷

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৷ গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে বলে জানান স্থানীয়রা৷

উচ্চ ক্ষমতার গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব গোলাবারুদ ও বিস্ফোরণে ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকা এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷

এপিবি/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা)