মিশর ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে
১ আগস্ট ২০১৩দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে মিশরের রাজনৈতিক সংকট নতুন রূপ নিয়েছে৷ অবশ্য কায়রোসহ দেশের অনেক শহরের রাস্তার চিত্রই বদলায়নি৷ আগে যেখানে ছিল মুরসিবিরোধীদের ভিড়, সেখানে এখন মুরসিসমর্থকরা সোচ্চার৷ আগে ছিল মুরসির পতনের দাবি, এখন দাবি তাঁকে মুক্ত করার – ক্ষমতায় ফেরানোর৷ মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের রুখতে খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ বিক্ষোভরত মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশকে সক্রিয় হতে বলেছে মন্ত্রীপরিষদ৷ সেক্ষেত্রে আরো রক্তক্ষয়, আরো প্রাণহানির আশঙ্কা৷ গত শনিবার একদিনেই সারা দেশের তাঁদের ৮০ জন সমর্থক মারা গেছে বলে দাবি করে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে বিক্ষোভরতদের প্রতি কোনো অবস্থাতেই রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে৷ কায়রোর রাজপথে মাইকে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের প্রয়োজনে মৃত্যুও বরণ করে নিতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হচ্ছে, ‘‘শহিদরা মরেনা, শহিদরা বেহেশতে যায়৷''
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করে মুসলিম ব্রাদারহুডের এ মুহূর্তে এ ছাড়া কোনো গতিও নেই৷ ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ খলিল আল-আনানি মনে করেন, ‘‘ওরা (মুসলিম ব্রাদারহুড) এখন কিছুটা দুর্বল অবস্থায় আছে৷ ওদের হাতে এখন আসলে অন্য কোনো কার্ড নেই৷'' তাঁর মতো অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, বিক্ষোভকারীদের প্রাণহানির ঘটনা যত বাড়বে মিশরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও তত বাড়বে – এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাজপথ ছাড়ছে না, খুব তাড়াতাড়ি হয়ত ছাড়বেওনা মুসলিম ব্রাদারহুড৷ এ অবস্থায় সরকার যদি আারো কঠোর অবস্থান নেয় তাহলে পরিস্থিতি যে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)