1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা সম্মেলন

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ যতোই হাসুন না কেন, নিজেদের অবস্থানে অত্যন্ত কঠোর৷

https://p.dw.com/p/17X3U
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় কর্মকাল শুরু হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটার বিশেষ লক্ষণ দেখা যচ্ছে না৷ অথচ সিরিয়া সংঘাতের মতো সংকটের জন্য এই দুই শক্তির সহযোগিতা অত্যাবশ্যক৷ মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনেরও সেটাই মূল সমস্যা৷

বাইডেন কিন্তু উভয় দেশের সহযোগিতার গুরুত্বের কথাটা নিজেই উল্লেখ করেছেন৷ এমনকি সিরিয়া সংঘাত, ইউরোপীয় রকেট প্রতিরক্ষা প্রণালী কিংবা রাশিয়ায় মানবাধিকারের প্রশ্নে দু'পক্ষের যতোই মতপার্থক্য থাক না কেন৷

এবং মতপার্থক্য যে আছে, সেটা বিশেষ করে বোঝা গেল সিরিয়ার প্রশ্নে৷ লাভরভ পূর্ণ প্রত্যয় রাখেন যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এখনও ভালোভাবেই গদিতে বসে আছেন এবং সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারও সম্পূর্ণ নিরাপদ৷

Russsische Staatsbürger werden aus Syrien ausgeflogen Außenminister Lawrow
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ সিরিয়ার প্রশ্নে এখনও অনড়ছবি: KIRILL KUDRYAVTSEV/AFP/Getty Images

অপরদিকে বাইডেনের মতে আসাদের দিন শেষ হয়েছে৷ বাইডেন আসাদের পদত্যাগ দাবি করেন এই বলে যে, ‘‘উনি একজন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা স্বৈরশাসক৷ উনি আর সিরীয় জনগণকে নেতৃত্ব দেবার অবস্থায় নেই৷ ওনাকে যেতে হবে৷''

জাতিসংঘের সিরিয়া মধ্যস্থ লাখদার ব্রাহিমি বাইডেন, লাভরভ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর সালেহি'র সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় এই কূটনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার কোনো একটা পন্থা আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু বিশেষ সফল হতে পারেননি৷

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে বাইডেন ইরানের নেতৃত্বকে আবার সরাসরি আলাপ-আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ আবার এ'ও বলেছেন, ইরানের আণবিক বোমা হবে মার্কিন যুরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে একটি হুমকি স্বরূপ৷

Syrien Iran Bashar al-Assad und Ali Akbar Salehi
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর সালেহি আসাদ’কে ভালোভাবেই চেনেনছবি: Reuters

লাভরভের জবাব হয় পরোক্ষ৷ তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক বলপ্রয়োগ একটি পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য সমাধান৷ তিনি ইরানের নিজস্ব ও ন্যায্য নিরাপত্তার স্বার্থগুলি বিবেচনা করার দাবি জানান৷ এবং ইরানের উত্তর পাওয়া যাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর সালেহির কাছে থেকে রবিবার, যখন তিনি ভাষণ দেবেন৷ আসাদ কি লেবাননের হেজবোল্লাহ, সকলেরই মদত আসে ঐ তেহরান থেকে৷ যে পটভূমিতে সিরিয়ায় ইসরায়েলের সর্বাধুনিক বিমান আক্রমণকেও দেখতে হবে৷

নয়তো মিউনিখে পশ্চিমা শক্তিরা যথারীতি তাদের নিজেদের সংহতি প্রদর্শন করেছেন, বিশেষ করে আন্তঃঅতলান্তিক জোট ও মৈত্রী৷

এসি/এআই (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য