1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালালা এখন ব্রিটেনে

১৬ অক্টোবর ২০১২

মালালা ইউসুফজাই এখন সারা বিশ্বেই খুব চেনা নাম৷ তালেবানের গুলি খেয়ে গত মঙ্গলবার থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে পাকিস্তানের ১৪ বছর বয়সি প্রতিবাদী এ কিশোরী৷ উন্নত চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে তাঁকে৷

https://p.dw.com/p/16QRp
মালালা ইউসুফজাই কেমন আছে? কয়েকদিন ধরে বিশ্বের সব দেশের প্রতিটি মানবতাবাদী মানুষের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন৷
ছবি: Reuters

মালালা ইউসুফজাই কেমন আছে? কয়েকদিন ধরে বিশ্বের সব দেশের প্রতিটি মানবতাবাদী মানুষের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন৷ সোমবার পাকিস্তানের এই সাহসী কিশোরীকে নিয়ে পাওয়া গেছে নতুন খবর৷ চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে৷ বার্মিংহ্যামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে পরবর্তী পর্বের চিকিৎসা চলবে তার৷ ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে যোগ দিতে আসা ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ নিশ্চিত করেন এ খবর৷ এ সময় মালালাকে ‘তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণাদায়ী উদাহরণ' উল্লেখ করে তার ওপর তালেবান হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত' বলে আখ্যায়িত করেন৷ এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানান, মালালার ইংল্যান্ডে যাওয়ার ভাড়া এবং চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচই বহন করবে পাকিস্তান সরকার৷

Malala Yousafzai
মালালা ইউসুফজাইছবি: picture-alliance/dpa

তালেবানের উত্থানের পর থেকেই পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা সত্যিকার অর্থেই যেন এক মৃত্যু উপত্যকা৷ মালালা সে এলাকারই মিঙ্গোরা শহরের মেয়ে৷ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময়ই সোচ্চার৷ নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে তালেবানের অবস্থানের কট্টর সমালোচক৷ ১১ বছর বয়সেই বিবিসির ব্লগে এ নিয়ে লিখে নজর কেড়েছিল মালালা৷ তারপর থেকেই তালেবান প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল তাকে৷ তারপরও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়নি মালালা৷ বরং মেয়েদের লেখাপড়ার পক্ষে আর তালেবানের বিপক্ষে কথা বলে গেছে প্রকাশ্যে৷ এমন ভূমিকার জন্য তাঁকে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও দিয়েছে পাকিস্তান সরকার৷ গত মঙ্গলবার মালালাকে গুলি করে তার দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবান৷ তাদের মুখপাত্র জানায়, অনেকবার তালেবান বিরোধী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে বলা সত্ত্বেও মালালা কান দেয়নি বলেই এই পরিণাম৷

মারাত্মক অবস্থায় মালালাকে নেয়া হয়েছিল পেশোয়ারের একটি হাসপাতালে৷ সেখানে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়৷ তারপর নিয়ে যাওয়া হয় রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সেখানে চিকিৎসায় ভালো সাড়াই দিচ্ছিল মালালা৷ অবস্থার উন্নতি বেশ চোখে পড়ছিল৷ ঘুমের ওষুধের প্রভাব কেটে গেলে হাত-পা নাড়তেও দেখা গেছে বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে৷ তারপরও মালালাকে ব্রিটেনে পাঠানোর কারণ জানাতে গিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘যুক্তরাজ্যের ওই হাসপাতালে ভয়ঙ্করভাবে আহত শিশুদের নিবিড় পরিচর্যার সুব্যবস্থা রয়েছে৷ সে কারণেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এক প্যানেল মালালাকে ব্রিটেনে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন৷''

Pakistan Krankentransport Malala Yaosofzai SCHLECHTE QUALITÄT
চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালালাকেছবি: Reuters

সেখানে মূলত মালালার মাথার খুলির হাড়ের চিকিৎসা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ এর পাশাপাশি নারকীয় এক হামলার শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়ার ধাক্কা সামলাতে লম্বা একটা সময় চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বলে জানা গেছে৷ তবে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালের দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী খুব কম বয়সেই প্রতিবাদী নারীর প্রতীক হয়ে ওঠা মালালার অবস্থা এখন বেশ ভালো৷ বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘ওর এখনকার অবস্থা নিয়ে মেডিক্যাল টিম খুশি৷'' অবশ্য শারীরিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ হলে অনেক সময় বিমানযাত্রাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়৷ তেমন ঝুঁকি নেই মনে করাতেই নাকি মালালাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক বিমানে করে বার্মিংহ্যামে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয় তার পরিবারের কাছে৷ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সম্মতির কথা জানানোর পরই বিমানে তোলা হয় মালালা ইউসুফজাইকে৷

এসিবি /এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য