মানুষের জিন বদলে দিয়ে জেলে
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯হে জিয়ানকুই নামের ঐ বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অবৈধ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তিনি কিছুদিন আগে দাবি করেছিলেন, এইডস-সুরক্ষিত জিন নিয়ে জন্মেছে ঐ যমজ শিশুরা৷ তিনি বিতর্কিত উপায় অবলম্বন করে তাদের জিন সংশোধন করে এমনটা ঘটিয়েছেন৷
সোমবার চীনের আদালত গবেষক হে জিয়ানকুইকে তিন বছরের জেল দেয়৷ তাঁর গবেষণা দলের দুই সহকারীকেও কম মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে৷
‘‘এই তিনজনের এমন ঔষধ দেয়ার এখতিয়ার ছিল না৷ তাঁরা খ্যাতি ও অর্থের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও চিকিৎসাসংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছেন,'' রায়ে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি৷
রায়ে আরো বলা হয়, ‘‘তাঁরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও চিকিৎসাসেবার নৈতিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন৷''
বিজ্ঞানী জিয়ানকুই ২০১৮ সালে তাঁর এই গবেষণা নিয়ে একটি ইউটিউব ভিডিও প্রকাশ করেন৷ সেই ভিডিওতে তিনি বলেন যে, ‘সিআরআইএসপিআর' নামের একটি জিন সিকোয়েন্স ব্যবহার করে তিনি বাচ্চা দুটির জিন সংশোধন করেন৷ কারণ, তাদের বাবার শরীরে এই ভাইরাস রয়েছে৷
‘‘তাদের বাবা-মা ‘ডিজাইনার' শিশু চান না,'' ভিডিওতে বলেন তিনি৷ ‘‘তাঁরা এমন শিশু চান যে কিনা কোনো অসুখে ভুগবে না, যা চিকিৎসাবিজ্ঞান করতে পারে৷ আমি জানি, আমার কাজ বিতর্কিত হবে৷ কিন্তু আমি জানি, পরিবারগুলোর এই প্রযুক্তি দরকার এবং আমি সেজন্য সমালোচনা শুনতে রাজি আছি৷''
বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখনো জিন সংশোধন বা পরিবর্তনকে পুরোপুরি গ্রহণ করেননি৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)