‘মানবপাচারকারী’ হাজী কামাল কারাগারে
৩ জুন ২০২০ঢাকার একটি আদালত মঙ্গলবার হাজী কামালের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায় বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
লিবিয়ায় খুন হওয়া ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত দুই জনকে পাচার করার অভিযোগে সোমবার ভোরে ব়্যাব-৩ এর একটি দল গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকা থেকে হাজী কামালকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে৷ গ্রেপ্তারের সময় কামালের কাছে অবৈধ ৩১টি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে৷তিনি কুষ্টিয়া জেলা সদরের জামাত আলী মণ্ডলের ছেলে৷
ওই দিন রাতেই ব়্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় হাজী কামালের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের ১১ (৩) ধারায় একটি মামলা করে৷
আদালতের কাছে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কামালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম৷ কামালের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন৷
গত ২৮ মে লিবিয়ার ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদাহতে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে একদল মানব পাচারকারী ও তাদের স্বজনরা৷ ওই ঘটনায় চার আফ্রিকান অভিবাসীও নিহত হন৷
এরপর নিহতদের আত্মীয়স্বজন মাদারীপুর সদর ও রাজৈর থানায় তিনটি এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন স্থানীয় ‘দালালদের’ বিরুদ্ধে৷
ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে ব়্যাব কর্মকর্তারা লিবিয়ার একটি ‘সূত্র’ থেকে হাজী কামাল সম্পর্কে জানতে পারে৷ কামাল শুধু লিবিয়া নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতও অবৈধভাবে লোক পাঠায়৷ প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত৷
এ ঘটনায় কামাল ছাড়াও মাদারীপুরের তিন পরিবারের করা মামলায় এক নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ তারা হলেন, রাজৈর উপজেলার জুলহাস সরদার এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার দিনা বেগম৷ তাদের মধ্যে জুলহাসের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হাসাপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে৷
এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
২০১৬ সালের ছবিঘরটি দেখুন...