সস্তায় কৃত্রিম হাত
২২ মার্চ ২০১৪দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া রাজিয়ার মা বিভিন্ন বাড়ি থেকে পুরনো পত্রিকা জোগাড় করে সেগুলো বিক্রি করে সংসার চালাতো৷ ঐ অবস্থায় সন্তানের এক হাত চলে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন রাজিয়ার মা৷
মন খারাপ করা এই সংবাদটি চোখে পড়েছিল ড. সিদ্দিক-ই-রব্বানির৷ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি' বা বিএমপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান৷ ড. রব্বানির মাথায় একদিন একটা পরিকল্পনা আসে৷ তিনি দর্জির দোকানে সাজিয়ে রাখা মডেলের হাতকে কৃত্রিম হাতে রূপান্তরিত করার কথা ভাবেন৷
সেই থেকে শুরু৷ এরপর কয়েক বছরের গবেষণা শেষে তিনি ও তাঁর দল একটা কৃত্রিম হাত তৈরি করে ২০১২ সালে রাজিয়ার হাতের সঙ্গে সেটা সংযুক্ত করেন৷ ঐ হাত ব্যবহার করে রাজিয়া লেখা, পোশাক পরা সহ কয়েকটি কাজ করতে পারছে – যেটা তাকে স্বাবলম্বী করে তুলছে৷
বিএমপিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় এ ধরনের কৃত্রিম হাত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত ঐ বিভাগ৷ এছাড়া ভবিষ্যতে এই কৃত্রিম হাতের মান আরও উন্নয়নে কাজ চলবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
কদিন আগে টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে ড. রব্বানি জানান, ‘‘বিদেশ থেকে যে হাতগুলো বাংলাদেশে আসে, যে হাতগুলো শুধু দেখার জন্য এবং যেগুলো কোনো কাজ করে না, সেগুলোর দামই ২০ হাজার টাকার ওপরে৷ আর যে হাত কাজ করে, অর্থাৎ যেগুলোকে ‘বায়োনিক হ্যান্ড' বলে, সেগুলোর দাম ১০ লক্ষ টাকার ওপরে৷''