1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ নভেম্বর ২০১৩

সরকারের মন্ত্রিসভার ৫২ সদস্য একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তাঁদের সাংবিধানিক অবস্থান কী, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগ সাংবিধানিক নয়, আনুষ্ঠানিক৷

https://p.dw.com/p/1AFsR
The Bangladesh army has said on 19,01.2012 it has foiled a plot by some hardline officers to topple the Sheikh Hasina government and that the process to bring the culprits to justice has begun. unser Korrespondent in Dhaka, Herr Harun Ur Rashid Swapan hat die angehängten Bilder am 19.01.12 aufgenommen, und stellt sie der DW zur Verfügung.
ছবি: DW

মন্ত্রিসভার ৫২ জন সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন সোমবার৷ নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্যই এই প্রক্রিয়া৷ কিন্তু মন্ত্রীরা এখানো তাঁদের পদে বহাল আছেন৷ গাড়িতে ব্যবহার করছেন জাতীয় পতাকা৷ তাঁরা মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত অফিসও করছেন৷ এই নিয়ে এখন বিতর্ক দেখা দিয়েছে, যে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরও তাঁরা মন্ত্রী পদে আছেন কি নেই৷

এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, মন্ত্রীদের এই পদত্যাগ সাংবিধানিক নয়, আনুষ্ঠানিক৷ তিনি জানান, তাঁরা যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়া হয়নি৷ তবে রাষ্ট্রপতির কাছে এই পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হলে তা কার্যকর হয়ে যাবে৷ তিনি আরও বলেন, তাঁদের এই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়ার জন্য দেয়া হয়নি৷ একটি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷ তাই তাঁরা যেটা জমা দিয়েছেন, তা সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র নয়, আনুষ্ঠানিকতা মাত্র৷ তাই তাঁরা স্বপদেই বহাল আছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন৷

এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তাঁরা সংবিধান মেনেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷ এই পদত্যাগপত্র যখন রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে এবং তিনি তাতে সই করবেন তখন তা কার্যকর হবে, তার আগে নয়৷ তাই তার আগ পর্যন্ত মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই স্বাভাবিক৷ তিনি এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি না করে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্যই এই প্রক্রিয়া৷

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হয়ে যায়৷ এখানে পদত্যাগপত্র গ্রহণের কোনো বিষয় নেই৷ তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গেছে৷ এরপরও যদি মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতুল্য হবে বলে তিনি দাবি করেন৷

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকও মনে করেন, মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হয়৷ তিনি বলেন, কোনো মন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, তখনই তাঁর পদ শূন্য হয়ে যায়৷ তাই এখন মন্ত্রীদের পদ শূন্য বলেই ধরে নিতে হবে৷

জানা গেছে, মন্ত্রীরা তাঁদের পদত্যাগপত্রে কোনো তারিখ না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের অভিপ্রায় জানিয়েছেন৷ আর প্রধানমন্ত্রী এখন থেকে যে সব মন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারে থাকবেন, তা বাদ দিয়ে বাকি পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন৷ আর সেই প্রক্রিয়া চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে হতে পারে৷ তখনই সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য