পুনর্গঠিত হচ্ছে মন্ত্রিসভা...
১১ নভেম্বর ২০১৩
সোমবার সচিবালয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে৷ বৈঠক শেষে সেখানেই বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ-পত্র জমা দেন৷ ৫২ সদস্যের মন্ত্রিসভার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সব সদস্যই পদত্যাগ-পত্র জমা দেন৷ মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইঞা জানান, এঁদের মধ্যে যাঁরা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে থাকবেন না তাঁদের পদত্যাগ-পত্র গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ আর যাঁরা সর্বদলীয় সরকারের থাকবেন তাঁদের পদত্যাগ-পত্র গ্রহণ করা হবে না৷ তিনি জানান, নতুন এই মন্ত্রিসভায় যাঁরা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হবেন তাঁদের শপথ নিতে হবে৷ সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় কতজন সদস্য থাকবেন, তা না জানালেও এর আকার ছোট হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব৷ এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সর্বদলীয় সরকারে অংশ না নিলে সর্বদলীয় সরকারে কিছুটা ত্রুটি থেকে যাবে৷ তবে সরকার আশা করছে যে, তাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং তারা সর্বদলীয় সরকার এবং নির্বাচনে অংশ নেবে৷ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ই নভেম্বর শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন৷ সেখান থেকে ফিরে আসার পর তিনি সর্বদলীয় সরকার গঠনের কাজ শুরু হবে৷ তবে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়া এই মন্ত্রীরাই দায়িত্ব পালন করে যাবেন৷ একমাত্র জামায়াতে ইসলামী ছাড়া জাতীয় সংসদে যে সব দলের আসন আছে, সেই সব দলের সংসদ সদস্যদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন হবে৷ এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে৷
মন্ত্রীদের পদত্যাগ-পত্র জমা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী বলেন, জাতি এখন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে৷ প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করতেন, তাহলে একটি ইতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হতো৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করে মন্ত্রীদের পদত্যাগের মানে হলো সরকার একদলীয় নির্বাচনের নীলনক্সা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ সরকার চায় বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে৷ কিন্তু সরকারের সে চেষ্টা সফল হবে না বলে মনে করেন রিজভী৷
অন্যদিকে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক হন তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত৷
প্রসঙ্গত, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পর্টি (জেপি) সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷