মনমোহনের সফরের সময়ই তিস্তা চুক্তি
৪ সেপ্টেম্বর ২০১১তবে কোন্ দেশ পানির হিস্যার কতটুকু পাবে তা তিনি প্রকাশ করেননি৷ এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন উজানে পানি প্রত্যাহারের পর যদি সমান ভাগ হয় তাতে বাংলাদেশ লাভবান হবেনা৷
১৯৯৬ সালে গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তির পর বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়েছিল তিস্তার পানি বন্টনের দিকে৷ কিন্তু গত দেড় দশক ধরে অনেক কথা হলেও তিস্তার পানি নিয়ে কোন সুরাহা হয়নি৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী তিস্তার পানিপ্রবাহ ক্রমেই কমছে৷ তবে আশার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী জানিয়েছেন, ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ই তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি হচ্ছে৷ তবে পানি কীভাবে ভাগ হবে এবং চুক্তিতে কি থাকছে তা তিনি প্রকাশ করেননি৷ তাঁর মত চুক্তিতে সব পক্ষই খুশি হবে৷
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের দাবি তিস্তার পানি ২০ ভাগ রাখতে হবে নদীর নাব্যতার জন্য৷ আর বাকি ৮০ ভাগ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমান ভাগ করতে হবে৷ তবে আন্তর্জাতিক নদী আইনের বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল বলেন, যদি উজানে পানি প্রত্যাহারের পর পানি আধা আধি ভাগ করাও হয় তাতে লাভবান হবেনা বাংলাদেশ৷
তিনি তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য তা প্রকাশ করার আহ্বান জানান৷ একই ধরনের মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ৷
ড. আনু মুহাম্মদ ও ড. আসিফ নজরুল বলেন শুধু চুক্তি করাই যথেষ্ঠ নয়, চুক্তি বাস্তবায়নেরও নির্দেশনা থাকতে হবে৷ আর অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে অববাহিকার সবদেশের সঙ্গে একযোগে চুক্তি করা গেলে তা হবে সবচেয়ে বেশি কার্যকর৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক