ভয়াবহ লোকসানের মুখে বিমান শিল্প
১৫ এপ্রিল ২০২০করোনা সংকটের জের ধরে গোটা বিশ্বে বেসামরিক বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ ফলে অনেক বিমান সংস্থা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে৷ সরকারি বিধিনিয়মের আওতায় অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ রেখেছে৷ বিমানবন্দরগুলির কার্যকলাপও অত্যন্ত সীমিত হয়ে উঠেছে৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সরকারি সাহায্য ছাড়া অনেক সংস্থার পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হবে৷
মঙ্গলবার গোটা শিল্পের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে বিমান চলাচল ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএটিএ৷ সংগঠনের পূর্বাভাষ অনুযায়ী ২০২০ সালে বিমান সংস্থাগুলির লোকসানের মাত্রা ৩১,৪০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে৷ উল্লেখ্য, গত ২৪শে মার্চ এই সংগঠন ২৫,২০০ কোটি ডলার লোকসানের আশঙ্কা করেছিল৷
আইএটিএ-র এই পূর্বাভাষ সত্য হলে ২০১৯ সালের তুলনায় শুধু যাত্রীদের ভ্রমণের মাত্রাই চলতি বছর প্রায় ৫৫ শতাংশ কমে যাবে৷ সার্বিকভাবে বিমান চলাচল ৪৮ শতাংশ কমে যাবে৷ করোনা সংকটের মেয়াদ তিন মাস স্থায়ী হবে, এমনটা ধরে নিয়েই প্রথমে লোকসানের হিসেব করা হয়েছিল৷ এখন আন্তর্জাতিক সংগঠনের আশঙ্কা, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বেশ কিছু বিধিনিয়ম দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকতে পারে৷ মার্চ মাসের শেষে আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও এখন এই দুই মহাদেশেও সংকটের আশঙ্কা করছে আইএটিএ৷
বেসরকারি বিমানচলাচল ক্ষেত্রের এমন মারাত্মক সংকট এড়াতে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার ডাক দিয়েছে আইএটিএ৷ প্রায় আড়াই কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে৷ শুধু এই শিল্পের স্বার্থেই নয়, বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থা আবার চালু করার ক্ষেত্রে এবং সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ তরান্বিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইএটিএ-র প্রধান আলেক্সঁদ্র দ্য জুনিয়াক৷
আইএটিএ-র বড় বড় সদস্য সংস্থাগুলি প্রধান রুট বা যাত্রাপথের জন্য সরকারি ভর্তুকির লক্ষ্যে তদবির করতে চলেছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গত সপ্তাহে দাবি করেছিল৷ তবে বাজেট এয়ারলাইন্সগুলি এর ফলে উপকৃত হবে না৷ ভর্তুকির কারণ হিসেবে আইএটিএ ১২ পাতার এক তালিকা প্রস্তুত করেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছিল৷ ২৯০টি বিমান সংস্থা এই সংগঠনের সদস্য হলেও ছোট সংস্থাগুলি ভরতুকির এমন উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানাতে চাইছে না বলে রয়টার্স জানিয়েছে৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)