ভ্যাকসিন নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট ভুল: অ্যাস্ট্রাজেনেকা
২৭ জানুয়ারি ২০২১জার্মানির দুইটি সংবাদপত্রে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড বয়স্কদের উপর কাজ করে না। ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে মাত্র আট শতাংশ ক্ষেত্রে তা কার্যকর হয়েছে। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ''এই তথ্য আদৌ ঠিক নয়। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিনেশন কমিটি জেসিভিআই ও মেডিসিন রেগুলেটর এমএইচআরএ বয়স্কদের দেয়ার জন্য এই ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে।''
তিনি জানিয়েছেন, ''''নভেম্বরে আমরা সব তথ্য দ্য ল্যানসেটে প্রকাশ করেছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন বয়স্কদের দেহেও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। একশ শতাংশ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের পর বয়স্কদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রকও সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টকে খণ্ডন করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, সংখ্যাতত্ত্বকে গুলিয়ে ফেলার ফলেই এরকম রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ''মনে হচ্ছে, রিপোর্টার দুইটি বিষয় গুলিয়ে ফেলেছেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এফিশিয়েন্সি সমীক্ষার ৮ শতাংশ মানুষ ৫৬ থেকে ৬৯ বছর বয়সী এবং তিন থেকে চার শতাংশ ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে। তার মানে এই নয় যে, তাদের টিকা মাত্র আট শতাংশ বয়স্ক মানুষের উপর ঠিকঠাক কাজ করেছে।''
দুইটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জার্মান সরকারের পরিকল্পনা ছিল, যে সব বয়স্ক মানুষেরা ভ্যাকসিন সেন্টারে আসতে পারবেন না, তাঁদেরকে বাড়িতে গিয়ে কোভিশিল্ড দেয়া হবে। কারণ, কোভিশিল্ড নিয়ে যাওয়া ও স্টোর করে রাখা ফাইজারের তুলনায় সহজ। ফাইজার-বায়োনটেক ভ্যাকসিন মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখতে হয়। কিন্তু কোভিশিল্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
এই রিপোর্ট এমন এক সময় প্রকাশিত হয়েছে, যখন ইইউ-কে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন দিতে পারেনি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এনিয়ে ইইউ-র সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে।
গত মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইইউ-র কাছে তাদের ভ্যাকসিনের অনুমোদন চেয়েছিল। জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সপ্তাহের শেষে এনিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ইএমএ। যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)