ভূমিকম্প প্রতিরোধী সেতু নির্মাণ
৪ জুলাই ২০১৮এর আওতায় ইউরোপীয় কমিশনের এক গবেষণা কেন্দ্রে কৃত্রিম উপায়ে ভূমিকম্প পরিস্থিতি তৈরি করা হয়৷ এভাবে দু'টি স্তম্ভের শক্তি পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ গবেষক মার্টিন পোলইয়ানেক বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের সময় স্তম্ভের উপরের দিকে কীরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা এই দুই অ্যাকচুয়েটরের মাধ্যমে বোঝা যাবে৷ তারা স্তম্ভ দুটিকে সামনে আর পেছনে নাড়াবে৷’’
সেন্সর আর শক্তিশালী ক্যামেরার মাধ্যমে পরীক্ষার সময় স্তম্ভগুলোর যে অবস্থা হয়, তার তথ্য নেয়া হবে৷ এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেতুগুলোর অবস্থা মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি বা উপায় বের করা হবে৷
৫০ বছর আগে সেতু নির্মাণের সময় ভূমিকম্পজনিত নিরাপত্তার বিষয়টি শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না৷
অবকাঠামো মূল্যায়ন কর্মকর্তা আর্টুর পিন্টো ভিয়েরা বলেন, ‘‘ইউরোপের সেতু ও ভায়াডাক্টগুলোকে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, আজকের পরীক্ষা সেক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে৷’’
মার্টিন পোলইয়ানেক বলেন, ‘‘ভূমিকম্প সাধারণত ১০-১৫ কিংবা ২০ সেকেন্ড ধরে হয়৷ আর ল্যাবে ৩-৪, এমনকি ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়৷ ফলে ভূমিকম্পের পুরো সময়টায় কীভাবে ক্ষতি সংঘটিত হয়, তা জানা যায়৷’’
পরীক্ষার পর দেখা যায়, যে স্তম্ভটি বল-বেয়ারিংয়ের সাহায্যে ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, সেটি কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর সেতুর অন্যান্য অংশের অবস্থার মডেল, ডিজিটাল উপায়ে প্রস্তুত করা হয়৷
আরেক গবেষক পিয়ের পেগোঁ বলেন, ‘‘সব স্তম্ভসহ একটি সেতুর কম্পিউটার মডেল আমাদের কাছে আছে৷ আর যে দুটো স্তম্ভ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তার মডেলও আছে৷ যেসব তথ্য পাচ্ছি তা দিয়ে প্রথমে এই দুই স্তম্ভ এবং পরে পুরো সেতুর মডেল পরিমাপ করা হয়৷’’
তাহলে কি পুরনো সেতুগুলো এখনই ভূমিকম্প উপযোগী করে সংস্কার করতে হবে, নাকি ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ঠিক করা কম ব্যয়সাপেক্ষ হবে? ভার্চুয়াল মডেল প্রতিটি সেতুর জন্য সেরা সমাধান বেছে নিতে সহায়তা করবে৷