1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ২৫ সাংসদের করোনা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

সংসদের অধিবেশন শুরু হলো। তাই সাংসদদের করোনা পরীক্ষা করতে হয়েছে। সেখান থেকেই ধরা পড়ল, ২৫ সাংসদের করোনা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3iQ4W
ছবি: picture-alliance/dpa

সোমবার থেকে শুরু হলো করোনাকালে সংসদের অধিবেশন। তার জন্য সাংসদদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করতে হয়েছে। সেখানেই ধরা পড়ল, লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত ২৫ জন সাংসদ। লোকসভার ১৭ জন, রাজ্যসভার আট জন।  এর মধ্য়ে বিজেপি-র ১৪ জন সাংসদ করোনায় আক্রান্ত। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সুকান্ত মজুমদারও আছেন। এ ছাড়া  কংগ্রেস, ওয়াই এসআর কংগ্রেস,শিবসেনা, ডিএমকে, এডিএমকে, আপ, টিআরএস ও তৃণমুলের সাংসদরাও করোনায় আক্রান্ত।  এতজন সাংসদের করোনা হওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা।  এর আগে সাংসদ ও বিধায়করাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, কয়েকজন রাজনীতিক মারাও গেছেন। তবে সেই সংখ্যাটা কখনই এই জায়গায় পৌঁছয়নি। 

অন্যদিকে গত ৬৮ বছরে কখনো এমন ছবি দেখা যায়নি লোকসভায়, বা বলা ভালো ভারতীয় সংসদে। পাশাপাশি বসা দুই সাংসদের মাঝে লাগানো হয়েছে পলিকার্বন শিট। প্রত্যেক সাংসদের দুই পাশের আসন খালি।  এভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে। সকলের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ঢোকার মুখে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমক্ত করতে হয়েছে। করোনাকালের অধিবেশন বলে কথা।

এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে লোকসভায় অর্ধেক সদস্যই বসতে পারছেন। কিছু সাংসদ বসছেন দর্শক গ্যালারিতে। কিছু সাংসদ রাজ্যসভায় এবং রাজ্যসভার দর্শক গ্যালারিতে। রাজ্যসভার ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে রাজ্যসভা, দর্শক গ্যালারি ও লোকসভায় সাংসদরা বসছেন। এ জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন একসঙ্গে বসছে না। আলাদা সময়ে বসছে। সোমবার প্রথমে লোকসভা বসেছে। পরে রাজ্যসভা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত বসবে রাজ্যসভা, তারপর তিনটে থেকে বসবে লোকসভা। চলবে সাতটা পর্যন্ত। মাঝখানের সময়ে সংসদভবন স্যানিটাইজ করা হবে।

তবে প্রথমদিন লোকসভার অনেক সাংসদই ছিলেন না। সোনিয়া গান্ধী চেক আপ করাতে বিদেশে গেছেন। মায়ের সঙ্গে গেছেন রাহুলও। ফলে তাঁরা কেউই ছিলেন না। রাহুল দিন কয়েকের মধ্যে ফিরবেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। তাছাড়া বয়স্ক বেশ কিছু সাংসদও অনুপস্থিত ছিলেন।

প্রথমদিন লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদ ভবনে মোদী বলেছেন, ''আশা করছি, সাংসদরা একজোট হয়ে আমাদের সেনার পাশে থাকার বার্তা দেবেন।'' আসলে প্রথমদিনেই কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ অনেকেই লাদাখ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন। মানে, সব কাজ মুলতুবি করে লাদাখ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বিরোধীদের আলোচ্য বিষয়ের তালিকায় প্রথমেই আছে লাদাখ প্রসঙ্গ। তাই প্রধানমন্ত্রী আগেভাগে ওই কথা বলে রাখলেন।

আরেকটা অভিনব বিষয় হলো, স্পিকার ওম বিড়লার রুলিং হলো, কেউ দাঁড়িয়ে বলবেন না। সকলকে বসে বলতে হবে। এতদিন সকলকেই দাঁড়িয়ে বলতে হতো। শরীর খারাপ না হলে কেউ বসে বলতে পারতেন না।

তবে প্রথমদিনেই বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সকালে অধিবেশন শুরুর আগে ডিএমকে সাংসদরা গান্ধী মূর্তির সামনে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।

লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ বার প্রশ্নোত্তরপর্ব নেই। জিরো আওয়ার একঘণ্টার জায়গায় আধঘণ্টা করা হয়েছে। ফলে বিরোধী দলগুলি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। অধীর প্রশ্ন করেছেন, কী করে প্রশ্নোত্তরপর্ব বন্ধ করা হলো? এভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লার মতে, অত্যন্ত কঠিন সময়ে সংসদের অধিবেশন হচ্ছে। তাই কিছু বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সাংসদদের বসারও অসুবিধা হচ্ছে। সময় যে অস্বাভাবিক, তা সকলের মাথায় রাখা উচিত। সে কারণে এই প্রথমবার সাংসদদের বসে বসে বলার অনুমতিও দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জিএইচ/এসজি(লোকসভা টিভি)