1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে মেট্রো চলবে, ছোট সমাবেশে অনুমতি

৩১ আগস্ট ২০২০

করোনা বাড়ছে। তা সত্ত্বেও ভারতে বিধিনিষেধ আরো তুলে নেয়া হলো। এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রো চলবে।

https://p.dw.com/p/3hnRG
ছবি: DW/Bubhu

আনলক ৪। মোটামুটি সিনেমা হল, সুইমিং পুল, অডিটোরিয়াম ছাড়া প্রায় সবই খুলে যাচ্ছে। মেট্রো রেল চলতে শুরু করবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সভা, সমাবেশ করা যাবে। তবে একশ জনের বেশি লোক থাকবে না। মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নবম থেকে দ্বাদশ বা ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ছাত্রছাত্রীরা পড়া বুঝতে স্কুলে যেতে পারবে। তবে তাদের বাবা-মা-র লিখিত অনুমতি লাগবে। স্কুলও ৫০ শতাংশ  শিক্ষক শিক্ষিকাকে প্রতিদিন ডাকতে পারবে। গবেষণা যাঁরা করছেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় যেতে পারবেন।  বোঝা যাচ্ছে, আনলক ৫-এর সময় স্কুল, কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিমান চলাচল এখনই শুরু হচ্ছে না। শুধু বিদেশে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিমান চলবে।

মেট্রো কীভাবে চলবে, তাতে কী কী সতর্কতা নিতে হবে, সে সব বিষয় পরে জানানো হবে। বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে মেট্রো চালু হবে। সূত্র জানাচ্ছে, মাঝে মাঝে কিছু আসন খালি রাখা হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায়।

রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালু হবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে ছোট আকারে তা করতে হবে। মাস কয়েকের মধ্যে বিহারে ভোট। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচি চালু করার কথা ভাবা হচ্ছিল। আনলক ৪ সেই সুযোগ করে দিল। তাছাড়া ধর্মীয় উৎসব নিয়েও আদালতে ছুটছিলেন অনেকে। বাকি সব যখন স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে, তখন সমাবেশ আর কতদিন বন্ধ করে রাখা হবে?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্যগুলি যখন তখন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না। লকডাউন ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আর রাজ্যের ভিতরে ও এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া যাবে না। ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি সপ্তাহে এক বা দুই দিন লকডাউন করতে চায় তাহলে কেন্দ্রের অনুমতি নিয়েই করতে পারবে।

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় নেয়া হলো, যখন ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৭৯ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এটা একটা রেকর্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরীক্ষা আগের থেকে বেড়েছে, এটা ভালো লক্ষণ। আরো বাড়াতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর করা প্রবীণ সাংবাদিক অবন্তিকা ঘোষ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''এখন না খুলে আর কোনো উপায় নেই। কতদিন আর সবকিছু বন্ধ করে বসে থাকা যায়। আর ভ্যাকসিন এলেও তো তা সঙ্গে সঙ্গে লোকে হাতে পাবেন না। সকলের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছনোটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।'' অবন্তিকা মনে করেন, ''যখন লকডাউন করা হয়েছিল, তখন সেটা উপযুক্ত সময় ছিল না। পরে করোনা যখন বেড়েছে তখন লকডাউন করলে ভালো হতো। কিন্তু লকডাউনের ফলে অর্থনীতির কী হাল হয়েছে, সেটাও সকলে দেখতে পাচ্ছেন।''

প্রধানমন্ত্রী মোদী রোববার বলেছেন. সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা বলা যতটা সহজ, করা কঠিন। বাসে, অটোতে, বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন শুধু নয়, অনেক সময়ই প্রায় অসম্ভব। ঘটনা হলো, ভারতে করোনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রায় তুলে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু সরকারের একটাই স্বান্ত্বনা, সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বাড়ছে।

জিএইচ/এসজি(স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি)