সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত
৮ জুলাই ২০১৭জার্মানির হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আলোচনার টেবিলে ছিল জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, মুক্তবাণিজ্য, শরণার্থী সংকট, সিরিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু৷ সে সবের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনাতেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ভারত, জানিয়েছেন সেদেশের জি-টোয়েন্টি বিষয়ক শেরপা অরবিন্দ পানগারিয়া৷
সম্মেলনের গণমাধ্যম কেন্দ্রে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আলোচনাগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে ভারত৷ এছাড়া বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনাতে অবদান রেখেছে দেশটি৷''
প্রসঙ্গত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক যে কোনো আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেন মোদী৷ জি-টোয়েন্টি সম্মেলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ হামবুর্গে মোদীসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের অর্থ উৎস বন্ধের দিকেও জোর দেয়ার অঙ্গীকার করেন৷ এ জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান, বিচারিক ব্যবস্থায় সহায়তা বাড়ানোর অঙ্গীকারও করা হয়েছে৷
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এই অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে পানগারিয়া বলেন, ‘‘শুরুতে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়টি শুধুমাত্র জি-টোয়েন্টির যৌথ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করার পরিকল্পনা থাকলেও ভারতের আগ্রহতে সেটি আলাদা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে৷''
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের এই যৌথ বিবৃতিকে ভারতের জন্য এক সাফল্য হিসেবে দেখছেন জি-টোয়েন্টি সম্মেলন কভার করতে আসা ভারতীয় সাংবাদিক মনীষ চাঁদ৷ ইন্ডিয়া রাইটস পত্রিকার এই প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘‘বিবৃতিতে সন্ত্রাসীদের ‘নিরাপদ আশ্রয়' বন্ধের কথাও বলা হয়েছে, যা দিয়ে প্রকারান্তরে আসলে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস প্রতিরোধে যে অ্যাকশন প্ল্যান সম্মেলনে দিয়েছেন, তাতে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন যোগায় এমন দেশগুলোর কর্মকর্তাদের জি-টোয়েন্টিভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে৷ এধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে তা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে৷''
উল্লেখ্য, সম্মেলনের শেষদিনেই ভারতের উদ্দেশ্যে জার্মানি ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ আগামী বছর আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আয়রেসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷