1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে জমি হারাচ্ছেন কৃষকেরা

৩ নভেম্বর ২০১৯

পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত ভারতের একটি গ্রাম ববিয়া৷ এই গ্রামের বাসিন্দাদের মোট জমির অর্ধেকেরও বেশি অংশ সামরিক বাহিনী বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন বরিয়াম সিং৷

https://p.dw.com/p/3SOQT
Indien | Zunehmende Abwehrkräfte begrenzen das Ackerland an der Grenze zu Pakistan
ছবি: Reuters/A. Sharma

তিনি ববিয়া গ্রামের একজন কৃষক৷ সিং যখন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে এই তথ্য দিচ্ছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য কৃষকরাও মাথা ঝুঁকিয়ে এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান৷

তাঁরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া ও ল্যান্ডমাইন বসানো হয়েছে৷ ফলে শত শত কৃষক তাঁদের কৃষিজমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ অনেক সময় কোনোরকম সতর্ক সংকেত কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই এমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের৷ ‘‘ফলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ তাঁদের আয়ের অন্য কোনো বিকল্প নেই,'' বলেন বরিয়াম সিং৷

এই অবস্থায় সম্প্রতি নির্মাণ সামগ্রী ভর্তি ১০টি ট্রাক তাঁদের এলাকায় গেলে বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন৷ কারণ তাঁদের মনে সামরিক বাহিনীর কাছে আরও জমি হারানোর শঙ্কা জেগে উঠেছিল৷

সীমান্তের বাসিন্দাদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন ‘বর্ডার ওয়েলফেয়ার কমিটি' বলছে, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে জমি অধিগ্রহণ করছে৷

কমিটির প্রেসিডেন্ট নানক চাঁদ জানান ২০০৪ সালে যখন প্রথম কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয় তখন তাঁর আট হেক্টর জমি নিয়ে নেয়া হয়৷ আর তিন মাসে আগে অবশিষ্ট দুই হেক্টর জমিও অধিগ্রহণ করে সামরিক বাহিনী৷ তাই ‘‘আমি এখন জমিহীন,'' বলেন তিনি৷

চাঁদ জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁকে ৩০ লাখ রুপি দেয়া হয়েছে৷ তবে তা কোনো নিরাপদ জায়গায় একই পরিমাণ জমি কেনার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান তিনি৷

সম্প্রতি ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় সীমান্ত এলাকার কৃষকেরা আরও বেশি জমি হারানোর আশঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছেন ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটি'র প্রধান আইডি খাজুরিয়া৷ কারণ ‘‘স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখন জম্মু-কাশ্মীর সরকার পরিচালনায় বেশি কিছু বলতে পারবেন না,'' বলে মনে করছেন তিনি৷

জম্মুর বিভাগীয় কমিশনার সঞ্জীব ভার্মা জানিয়েছেন, ক্রমান্বয়ে জম্মুর সব কৃষকদের জমির মূল্য দেয়া হবে৷ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ তবে কতজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তা জানাতে অস্বীকার করেন ভার্মা৷

জেডএইচ/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

গত বছরের মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান