1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে মুম্বাইয়ে গুলি করে হত্যা

১৩ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ শনিবার মুম্বাইয়ে ছেলের অফিসের বাইরে বাবা সিদ্দিককের বুকে পরপর বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয়েছে৷ আগামী মাসে মহারাষ্ট্রে রাজ্য নির্বাচনের কথা রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4ljLR
ভারতের রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিক৷
ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে শনিবার মুম্বাইয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ছবি: Satish Bate/Hindustan Times/picture alliance/Sipa USA

৬৬ বছর বয়সি এই আইনপ্রণেতা ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি-অজিত পাওয়ার) নেতা৷ তিনি বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক৷পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের একজন মন্ত্রীও ছিলেন তিনি৷

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিক৷ গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবা সিদ্দিক৷

গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন, একজন পলাতক

নিজ দলের সঙ্গী হারিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, তিনি এই ‘‘কাপুরুষোচিত আক্রমণে'' বিস্মিত হয়েছেন৷

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে এবং আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''

‘‘এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকেও খুঁজে বের করা হবে'' বলে জানিয়েছেন তিনি৷

বাবা সিদ্দিককে তিন জন মিলে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে৷

বাবা সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডে চলছে পুলিশি তদন্ত৷
এখানেই বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ তদন্তের প্রয়োজনের এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ছবি: Francis Mascarenhas/REUTERS

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তৃতীয় ব্যক্তিকেও খোঁজা হচ্ছে৷

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সন্দেহভাজনেরা দাবি করেছে, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য৷ এই গ্যাংটির বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে৷ তবে বাবা সিদ্দিককে হত্যার দায় এখনও স্বীকার করেনি গ্যাংটি৷

২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের অধীনে খাদ্য ও বেসামরিক সেবা সরবরাহ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাবা সিদ্দিক৷

ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে প্রায় পাঁচ দশক যুক্ত ছিলেন তিনি৷ কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন সিদ্দিক৷

সিদ্দিককে হত্যার ঘটনায় ভারতের প্রায় সব দলের রাজনীতিবিদেরা শোক জানিয়েছেন৷ একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা৷

টিএম/এআই (এএফপি, ইএফই)