সাংসদ কোটা বাতিল
১৪ নভেম্বর ২০১২কিছু দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে৷ সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছিল যে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংসদ সদস্যদের জন্য শতকার ২ ভাগ কোটা রাখতে হবে৷ শিক্ষা মন্ত্রণালায় তাদের প্রাথমিক বৈঠকে তা অনুমোদনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তা আর হলো না৷ সংসদ সদস্যদের এই আবদারে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত৷ আর তাতেই উল্টে গেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷ সংসদ সংসদস্যদের কোটার বিধান না রেখেই ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ যা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷
একই সঙ্গে প্রবাসী, শিক্ষাবোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের কোটাও বাতিল কার হয়েছে৷ তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রতিবন্ধীদের কোটা বহাল আছে৷ এবার ভর্তি ফর্মের দামও বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ আর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫০৷
এদিকে, ভর্তির অন্যান্য নিয়মাবলী আগের মতোই থাকবে৷ অভিভাবকরা সংসদ সদস্যদের কোটা না থাকা এবং আরো কিছু কোটা কমিয়ে দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন৷ তাঁদের কথা যত কোটা তত দুর্নীতি৷ উল্লেখ্য, প্রতিবছর এই ভর্তিকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকার ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরে৷